সাসপেন্ডেড ছাত্রের বক্তব্য, অমর্ত্য সেনের যে ১৩ ডেসিমেল জমি বিশ্বভারতী নিজের বলে দাবি করছে, সেই জমির পক্ষে নোবেলজয়ী কাগজপত্র দেখাচ্ছেন। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষই বরং নিজেদের পক্ষে সেরকম কোনও কাগজ দেখাতে পারছে না। সে কথাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন সোমনাথ। অভিযোগ, এ জন্যই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ’ হয়ে এই পদক্ষেপ করেছে। অবিলম্বে সাসপেনশন নির্দেশ প্রত্যাহার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
advertisement
প্রসঙ্গত জমি বিতর্কে অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ ইউনিজ স্টিগলিটস। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের হয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও, অধ্যাপক সেনের পক্ষে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে চিঠি দিলেন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমিয় কুমার বাগচি৷ উল্লেখ্য, এর আগে দেশ-বিদেশের ৩০৪ জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্বভারতীর পরিদর্শককে চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ জর্জ আর্থার একারলফ।
বর্ষীয়ান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছে-এই অভিযোগ তুলে ‘ভারতরত্ন’ অধ্যাপক সেনকে ‘জমি হরফকারী’, ‘জমি কব্জাকারী’ বলে উল্লেখ করে জমি ফেরত চেয়ে উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এমনকি, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদকে তির্যক ভাষায় আক্রমণ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন অধ্যাপক সেন৷ তাঁকে হেনস্থার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিভিন্ন স্তরের মানুষ৷