প্রচলিত ক্লাসরুমের থেকে একদম আলাদা এই ক্লাস রুম। খোলা মাঠ, গাছপালা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা মাটিতে বসে ক্লাস করছে যেখানে স্কুলের ঘন্টা পড়ার কোন হিড়িক নেই। প্রকৃতির মাঝে বসে থাকা এবং তারই মাঝে ক্লাস করা এই যে এক অভিজ্ঞতা, এই অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম প্রকৃতির বুকে এই ক্লাসরুমের শুরু করেছিলেন। তিনি মনে করতেন পাখির ডাক, গাছের আওয়াজ, গাড়ির শব্দ এইসব কিছুই পড়াশোনার একটি অংশ। অন্যদিকে তিনি মনে করতেন শিক্ষকরা শুধু তথ্য দেন না বরং শিক্ষক প্রকৃতির সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের যোগসূত্র গড়ে তোলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বাদাম কাকু অতীত! এবার বীরভূমে খোঁজ মিলল ‘বাদাম সাইকেল মিস্ত্রি’র! প্রতিভা শুনলে চমকে যাবেন
প্রকৃতির মাঝে এই স্কুলে কোনরকম ঘন্টা বাজে না, নেই নিয়মের কড়াকড়ি, একদিকে যেমন স্বাধীনতা রয়েছে ঠিক তেমনই একটি শৃঙ্খলা রয়েছে এই প্রকৃতির মাঝে পড়াশোনার। প্রকৃতির মাঝে পড়াশোনা করলে এক ছন্দ খুঁজে পায় ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রকৃতির মাঝে পড়াশোনার এক আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে যেমন মাটিতে দাগ কেটে অঙ্ক শেখা গাছপালা দেখে বিজ্ঞানের জ্ঞান নেওয়া। এক কথায় ক্লাসরুমের মধ্যে যে সমস্ত বিষয় শেখান হয় সেই সমস্ত বিষয় প্রকৃতির মাঝে প্রকৃতিকে দেখিয়ে শেখানোর জন্যই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বীরভূমে এসে উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মূলত এভাবে শিক্ষার একটা গুণ রয়েছে যেমন ছাত্র-ছাত্রীরা প্রকৃতির মাঝে নিজেকে মিলিয়ে নিতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমন এক শিক্ষার কথা ভেবেছিলেন যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা চার দেওয়ালের বাইরে এসে প্রকৃতির মাঝে নিজেদের শিক্ষা অর্জন করবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভাবতেন শিক্ষা শুধু বইয়ের মধ্যে আটকে থাকবে না সেটা জীবনকে ছুঁয়ে থাকবে বিশ্বভারতীর পাঠভবনের খোলা আকাশের সেই ক্লাস পুরানো সেই দর্শনের এক জীবন্ত রূপ যেটা আজও চলছে।
সৌভিক রায়