TRENDING:

Viral Video: এই জলে ডুব দিলেই সন্তান-লাভ! রোগ মুক্তি! কেদার ভুড়ভুড়ি-তে ভক্তদের ভিড়! অলৌকিক ঘটনা

Last Updated:

Viral Video: কেদার ভুড়ভুড়িতে স্নান করে পুজো দিলেই সব ইচ্ছে সত্যি হবে! এমন বিশ্বাসেই বাড়ছে মানুষের ভিড়

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ডেবরা: মেদিনীপুর জেলার আনাচে কানাচে রয়েছে নানান অজানা ইতিহাস। রয়েছে প্রাচীন ইতিহাসের নানা সাক্ষীও এমনই এক ইতিহাসে নিদর্শন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরার ভগ্নপ্রায় মন্দির কেদার ভুড়ভুড়ি ও চপলেশ্বর জীউর মন্দির। জানা যায়, প্রায় ৭০০ বছরের প্রাচীন এই মন্দির। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সোলাঙ্কিদের ইতিহাস বহু অলৌকিক কাহিনী। শোনা যায়, ১৩০১ সালে ওড়িশায় শোলাঙ্কিদের আক্রমণ করে আলাউদ্দিন খিলজি। সোলাঙ্কি রাজা দেবনাথ কেশিয়াড়ি হয়ে বাংলায় প্রবেশ করেন, আত্মগোপন করেন কেদার কুন্ডের জঙ্গলে, যার বর্তমান নাম চন্ডিপুর।
advertisement

জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে উষ্ণ প্রস্রবণ দেখতে পায় রাজা দেবনাথ। সেই রাতেই মহাদেবের স্বপ্নাদেশ পান মন্দির তৈরির। একটু উঁচু জমিতে চপলেশ্বর মন্দির গড়ে তোলেন। জনশ্রুতি রয়েছে, এর পরেই রাজা দেবনাথ ‘রায়’ উপাধি পেয়েছিলেন। সেখান থেকেই রাজ্যের নাম ‘দেবরায়’ হয়ে পরে ‘ডেবরা’ হয়েছে। ইতিহাস বলছে, ডেবরা ছিল বাংলা ও ওড়িশা যাওয়ার সংযোগস্থল। ডেবরা ব্লকের ভবানীপুর, মাড়োতলা, ওপর দিয়ে ডেবরা পর্যন্ত যে রাস্তাটি এখন রয়েছে তা আগে ‘নন্দকাপাশা জাঙ্গাল’ নামে পরিচিত ছিল। সেই সময় জেলার সব রাস্তা এই নন্দকাপাশা জাঙ্গালের সঙ্গে মিলত ছিল। বুড়ামালা, শ্যামচক হয়ে নারায়ণগড়ের কাছে জগন্নাথ রাস্তার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল।  সেই থেকে হয়ে চলেছে এই কেদার ভুড়ভুড়ি চপলেশ্বর জীউর মন্দিরে এর পুজো।

advertisement

আরও পড়ুন: 

মন্দিরের পূর্ব দিকে রয়েছে সেই ঐতিহাসিক কেদার ভুড়ভুড়ি। এখনও মানুষের বিশ্বাস ওই কেদার ভুড়ভুড়ি একটি উষ্ণ প্রস্রবণ। জলে স্নান করলে সর্ব রোগ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। যা মন্দিরের শিবলিঙ্গর সাথে যুক্ত রয়েছে। বর্ষাকালে আজও নাকি ভুড়ভুড় করে মাঝেমধ্যে জল উঠতে দেখা যায়।

advertisement

View More

আরও কথিত রয়েছে মন্দিরের ধজাতে কখনও কোন পাখিকে বসতে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন:  কুরুমবেড়া ফোর্ট দেখেছেন? ছোট্ট ছুটিতে ঘুরে আসুন জঙ্গল-মহল! জানুন কীভাবে যাবেন!

মানুষের বিশ্বাস যাদের সন্তান-সন্ততি হয় না, সর্বক্ষণ রোগ জ্বালায় জর্জরিত এই মন্দিরে এসে ওই কেদার ভুড়ভুড়িতে স্নান করে পুজো দিলেই সন্তান-সন্ততি লাভ হয় ও সর্ব রোগ থেকে নিরাময় হওয়া যায়। মন্দিরটি নির্মিত রয়েছে পুরোটাই পাথরের। এও শোনা যায় স্বয়ং বিশ্বকর্মা নাকি এক রাত্রিতেই এই মন্দির তৈরি করেছিলেন। সারা বছর বিভিন্ন দিনে এখনও ভিড় জমে ভক্তদের। দুর দুরান্ত থেকে বহু মানুষ কামনা পূরণের জন্য আসেন এই মন্দিরে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
অরণ্যের নাম গণপুর, কলকাতার খুব কাছে মাত্র ৫০ টাকা খরচে গভীর জঙ্গলে সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে আসুন!
আরও দেখুন

Ranjan Chanda

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Viral Video: এই জলে ডুব দিলেই সন্তান-লাভ! রোগ মুক্তি! কেদার ভুড়ভুড়ি-তে ভক্তদের ভিড়! অলৌকিক ঘটনা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল