দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর ধরে তিনি এই ভাবেই বাঁশি বাজান। এই কঙ্কালীতলায় আগত পর্যটকরা তার কাছে বাঁশির সুর শুনে যেটুকু দেন তাতেই তার চলে যায়। অনন্য প্রতিভাবান ওই ব্যক্তি হলেন শান্তিরাম বাগদি। তিনি বীরভূমের রাওতারার বাসিন্দা। শান্তিরাম বাবু পেশায় একসময় চাষি এবং বাউল শিল্পী ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় তিনি বাউল গান করতে যেতেন এমনকি যাত্রাতে বাঁশি বাজাতেন। এরপর তিনি এ সব ছেড়ে কঙ্কালীতলায় সতী মায়ের শরণাপন্ন হন। তারপর থেকে সেখানেই তিনি বাঁশি বাজানোর এবং তা থেকে রোজগারের পথ দেখেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র ১ টাকায় পেটপুরে মাছ-ভাত! কোথায় এমন উদ্যোগ? জানুন...
নাকে বাঁশি বাজানোর দক্ষতা অর্জন করা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, প্রথম তিনি বাঁশি বাজাতেন মুখ দিয়েই। কিন্তু একদিন তিনি নাকে বাঁশি গুঁজে ফুঁ দেন। তারপর দেখেন দিব্যি বাঁশি বাজছে। এর পরেই তিনি নাকে বাঁশি বাজাতে পারবেন এমনটা স্থির করে শুরু করেন অধ্যাবসায়। দেখতে দেখতে আজ তিনি মুখ এবং নাক দিয়ে সমানতালে বাঁশি বাজার ক্ষমতা অর্জন করেছেন।
মাধব দাস