এরপর ওই তিন যুবককে ধরে বিষয়টি সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হলে, বিভূতি বিশ্বাস নামে বনগাঁ থানার অন্তর্গত নারায়ণ গোপালগঞ্জের ব্যক্তি জানান, কাজের প্রয়োজনে দত্তপুকুরে আসার পর, স্টেশনের কাছ থেকে তিন ব্যক্তি দত্তপুকুর থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে গাড়িতে তোলেন। এরপর তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। আটক আরও দুই ব্যক্তিরা হলেন শুভঙ্কর হালদার যিনি গোবরা স্বরুপনগর থানার বাসিন্দা ও রাজেশ ঠাকুর বাদুড়িয়ার বাসিন্দা। এরপরই সুযোগ বুঝে বিভূতি সোনার বিস্কুটের প্যাকেটটি জঙ্গলে ছুড়ে ফেলে দেন। তখনই নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। ঘটনার খবর পেয়ে অশোকনগর থানার পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসা বাদ করলে গোটা ঘটনার কথা জানান তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: ভুলেও খাবেন না এই সব খাবার! কিডনি ভাল না থাকলে সব শেষ! জানুন চিকিৎসকের মত
এরপরই পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে আসে থানায়। পুলিশে জিজ্ঞাসা বাদে উঠে আসে গোটা ঘটনার কথা। ধৃতদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি ছুরি উদ্ধার হয়েছে। অপরদিকে, বিভূতি বিশ্বাসের কাছে থাকা সোনার ছটি বিস্কুটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য ৬০ থেকে ৬৫ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছে অশোকনগর থানার পুলিশ। এদিন হাবরা এসডিপিও প্রসেনজিৎ দাস, থানার আধিকারিক চিন্তামণি নস্কর সাংবাদিক সম্মেলন করে অশোকনগর থানার এই সাফল্যের কথা জানান। অভিযুক্ত তিনজনকে এদিন বারাসত আদালতে পাঠানো হয় পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে। তবে এই বিভূতি লক্ষাধিক টাকার সোনার বিস্কুট পাচার নাকি অন্য কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন তা অবশ্য জানা যায়নি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Rudra Narayan Roy