পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের প্রত্যন্ত এক গ্রামীণ এলাকা রানিসরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের হলদিয়া গ্রামের বাসিন্দা উপেন মান্ডি। বয়স তার ৭০ পেরিয়েছে। পেশাগতভাবে তিনি ছিলেন রেলের ওয়ার্কশপের একজন টেকনিশিয়ন। বর্তমানে তিনি অবসর নিয়ে ঘরে বন্দি, কাটাচ্ছেন অবসর সময়। প্রতিদিন চলে গানের রেওয়াজ। স্বামী-স্ত্রী মিলে কখনও হারমোনিয়াম, আবার কখনও কি-বোর্ড নিয়ে বসে পড়েন গানের রেওয়াজ করতে।
advertisement
স্কুল জীবন থেকে নানা সামাজিক বিষয়, চোখের সামনে দেখা বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে গান লিখতেন উপেন মান্ডি। সেই গান বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাইতেন তারা। ছেলেও পারে কি-বোর্ড বাজাতে। এভাবেই অবসর জীবন কাটে উপেন মান্ডি। ছোটবেলায় বাবা মায়ের সঙ্গে চলে আসেন হলদিয়া। সেখানে বাড়ি করে শুরু করেন বসবাস।
উপেন বাবুর বাবা এবং মা দু’জনই গান করতেন। পারিবারিকভাবে সেই গানের ধারাকে জিইয়ে রেখেছেন তিনি। তবে উপেন মান্ডির স্ত্রী লতিকা মান্ডির গানের গলা অত্যন্ত সুন্দর। তারও পারিবারিকভাবে ছিল গানের চর্চা। মিশন জীবন এমনকি কর্মজীবনেও লিখেছেন প্রার্থনা সঙ্গীত, গণ সঙ্গীত-সহ নানা সচেতনতামুলক গান। এখনও সময় পেলে লেখেন গান। পরে স্বামী ও স্ত্রী মিলে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করেছেন।
ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় গান পরিবেশন করেছেন এই দম্পতি, বিনিময়ে পেয়েছেন অর্থ। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকবার আকাশবাণীতেও গান পরিবেশন করেছেন তারা। উপেন মান্ডি এখনও লেখেন গান। সুরও দেন নিজে। প্রথাগতভাবে স্বরলিপির তালিম না থাকলেও গানের গলা শুনলে মোহিত হবেন। বাংলা এমনকি সাঁওতালি ভাষায় লিখেছেন গান। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে মুগ্ধ করেছেন সকলকে।
রঞ্জন চন্দ