দুই অবলা পশুর একে অপরের প্রতি স্নেহ, ভালবাসা এবং দায়বদ্ধতা মন কেড়ে নিয়েছে সকলের। রাস্তাতে একে অপরের আপদে বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, শুধু তাই নয় বন্ধু চলে গেলে আর একজন খাবার ফেলে রেখে তার পিছু নিয়েছে। এ যেন এক সাধারণ বন্ধুত্ব নয়, এক প্রগাঢ় বন্ধু দুজন। স্বাভাবিক অন্যদিনের মতো এদিনও সকাল থেকেই একটি ষাঁড়কে রাস্তার ধারে আস্তাকুঁড়েতে সবজির খোসা খেতে দেখে সকলে। তবে তার পাশেই ঘুরঘুর করছিল একটি কুকুর। প্রথমে কিছুটা এড়িয়ে গেলেও পরে সকলের নজরে আসে এই দুজন। ষাঁড় চলছে আর পিছন পিছন চলছে এই সারমেয়টি।
advertisement
আরও পড়ুন : তোপধ্বনি স্তব্ধ কয়েক যুগ…নিঃসঙ্গতাকে সঙ্গী করে বিস্মৃতির অতলে একা দাঁড়িয়ে জাহানকোষা
রাস্তা পার হলেও একে অপরের পাশেই। ঠিক যেন এক অপরের পরিপূরক। দুজন যেন বেশ অনেক কালের বন্ধু। এভাবেই সারাদিন এক সঙ্গে ঘুরল দুজন। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা বাজারে এই দুই অবলা পশুর ভালবাসা ও বন্ধুত্বের সাক্ষী রইল সকলে। অন্য ষাঁড়ের থেকে নিজের বন্ধু-ষাঁড়কে বাঁচাতে এই কুকুরের ভূমিকা দেখলে অবাক হবেন। শুধু তাই নয় গোটা বাজার জুড়ে এক অন্যের পিছনে দুলকি চালে বেশ ঘুরল। সকাল থেকে দু’জন আলাদাই ছিল, তবে কিছুটা সময়ের মধ্যে এক অন্যের ভাল বন্ধু হয়ে ওঠে। তার পর দু’জনে যে যার বাড়ি পথে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আস্তাকুঁড় থেকে খাবার খেয়ে চলে দিন। কিংবা লোকের দেওয়া সামান্য রুটি বিস্কুটে চলে সারাদিনের খাওয়া। তবে দুই অবলা পশুর একে অপরের প্রতি ভালবাসা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সমাজকে। যখন মানুষের মধ্যে এত শত্রুতা, এত হিংসা, তখন এই দুই অবলা জন্তুর এমন ভাব, মানসিকতা মানুষের থেকে অনেক ঊর্ধ্বে। সমাজ এগোলেও এই দুই প্রাণীর বন্ধুত্ব সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত।