শনিবার পানাগড় বাজারের বাসস্ট্যান্ডের একটি মিষ্টির দোকান থেকে কেনা চপের মধ্যে মরা আরশোলা বের হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলকায়। দোকান থেকে কিনে নিয়ে যাওয়া চপের মধ্যে থাকা আরশোলার দেখে হতবাক হয়ে যায় সকলেই। সঙ্গে সঙ্গে ওই চপটি নিয়ে মিষ্টির দোকানে যায় ওই বালক। সঙ্গে যান স্থানীয় বাসিন্দারাও। রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। খাবার জিনিসের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকা এবং নজর না দেওয়ার জন্য রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় মানুষজন। বাচ্চাদের সুযোগ নিয়ে ঠকানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এর আগেও একই ধরনের ঘটনা দেখা গিয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন - নিকাশির উন্নতি প্রাথমিক লক্ষ্য। একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়
আরও পড়ুন - পঞ্চায়েতের উদ্যোগে মৎস্য চাষের মাধ্যমে স্বনির্ভর করা হচ্ছে এলাকাবাসীকে
কাঁকসা ব্লকের তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, ঘটনার সম্পর্কে তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের জানিয়েছেন এই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালে প্রশাসন এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এর আগেও মিষ্টির দোকানের খাবারে আরশোলা জাতীয় পতঙ্গ পাওয়া গিয়েছিল। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা দোকানের সামনে গিয়ে হাজির হন। ঢুকে পড়েন মিষ্টির দোকানের রান্নাঘরে। অন্যদিকে চপের মধ্যে থাকা আরশোলা দেখে কিছুটা হতবাক হন দোকানের মালিক। যদিও এই বিষয়ে তিনি বিশেষ কোনও কিছু বলতে চাননি। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগেও বিশেষ পাত্তা দেননি দোকানের কর্ণধার। কিন্তু এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই দোকানের খাবার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। বারংবার খাবারের আরশোলা বা ওই জাতীয় পতঙ্গ মেলায়, খাবারের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
Nayan Ghosh