এমনিতেই খানাকুলের মাড়োখানা, ধান্যঘোরী ও জগৎপুর পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ চাষের জমি এখনও জলমগ্ন। কয়েকদিন আগেই লাগাতার বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয় এই জায়গা। নিকাশির কোনও ব্যবস্থা না থাকায় এখনও বিঘার পর বিঘা জমিতে সেই জল জমে আছে। এমতাবস্থায় আবহাওয়া দফতর ফের নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়ায় আদৌ সবজি চাষ হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কর্মস্থলে মানসিক নির্যাতনের শিকার! গঙ্গায় ঝাঁপ হবু কনের, উদ্ধার সু*ইসাইড নোট, চন্দননগরে চাঞ্চল্য
জানা যাচ্ছে, লাগাতার জলমগ্ন থাকায় চাষের জমিতে পানা, আগাছা জন্মেছে। এই সময় খানাকুলের এসব এলাকায় শসা, লঙ্কা, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, মুলো সহ নানা সবজি চাষ হয়। কিন্তু জমিতে জল জমে থাকায় সবজি চাষ এখনও বিশ বাঁও জলে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।
এদিকে এইসময়ের রবি ফসল চাষ অনেকটাই লাভজনক। কিন্তু চাষের জমিতে জল জমে থাকায় পিছিয়ে গিয়েছে চাষ। দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে চোখে জল স্থানীয় কৃষকদের। যদিও তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন চেয়েই দেখছে না। পাল্টা প্রশাসনের দাবি, জল নিকাশি কীভাবে হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।