এই চার্চের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই অঞ্চলের ইতিহাস। ব্রিটিশ আমলে এখানে ছিল জঙ্গল, প্রথম দিকে তারা এখানে এসে পৌঁছায়নি। পরে জঙ্গল কাটা শুরু হলে কিছু ইংরেজ এসে এখানেই বসতি স্থাপন করে। স্থানীয়রা তখন তাদের বলত সাহেব।
আরও পড়ুন- বলুন দেখি…দেশের কোথায় ‘টাকা’ ছাপানো হয়? ৯৯ শতাংশই জানেন না সঠিক উত্তর
advertisement
পরে এলাকার নাম হয়ে যায় সাহেববাড়ি। ইংরেজরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাদের তৈরি এই চার্চ এখনও রয়ে গিয়েছে এলাকায়। এই চার্চ দেখতে দূর দূরান্ত থেকে অনেক পর্যটক আসেন। বড়দিন উপলক্ষ্যে এখানে এক সপ্তাহ ধরে মেলা হয়। যা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধ্যে বড় খ্রীস্ট মেলা। বড়দিনের দিন প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ সেখানে আসেন।
আরও পড়ুন- বলুন দেখি…দেশের কোথায় ‘টাকা’ ছাপানো হয়? ৯৯ শতাংশই জানেন না সঠিক উত্তর
এখানে এসে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন গির্জা সংলগ্ন বাগান, বড় ঘন্টা সহ আরও অনেক মনোরম জিনিস। রয়েছে একটি বড় পার্ক। যেটি পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।এখানে আসতে হলে আপনাকে আসতে হবে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার মথুরাপুর স্টেশনে। সেখান থেকে বাস অথবা অটোতে করে সাহেববাড়ি। ট্রেন ভাড়া ২০ টাকা, বাস অথবা অটো ভাড়া আরও ৩০ টাকা। ২৫ শে ডিসেম্বর সমস্ত দিন সকলের জন্য খোলা থাকে এই গির্জা। তবে বছরের অন্যান্য দিন গির্জার আশেপাশে ঘুরতে পারবেন আপনি।
এ নিয়ে সাহেববাড়ি গির্জার পৃষ্ঠপোষক খোকন ঘোষ জানান, ইংরেজরা এই গীর্জা তৈরি করেছিল। তারপর থেকে প্রতিবছর এখানে অনুষ্ঠান হয়। এই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করতে ছুটে আসেন হাজার হাজার মানুষ। এবছরও তার ব্যতিক্রম হবেনা বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
নবাব মল্লিক