TRENDING:

পৌষে অকাল বৃষ্টি, জেলায় চাষে প্রভাব, ক্ষতির মুখে হাওড়ার ফুলচাষিরা

Last Updated:

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি। প্রভাব পড়েছে ফুলের পাশাপাশি পান চাষেও ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
Debasish Chakraborty
advertisement

#হাওড়া: বুলবুলের ঝাপটা এখনও দগদগে। এর উপর পৌষের অকাল বৃষ্টি। মাথায় হাত জেলার কৃষকদের। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি। ভাব পড়েছে হাওড়ার গ্রামাঞ্চলেও। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল চাষের। বৃষ্টির জেরে গাছের পাতায় ধরছে কালো দাগ। ঝড়ে যাচ্ছে ফুল। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকার ফুল চাষীরা।

advertisement

বাগনানের ঘোড়াঘাটা, দেউলটি, রবিভাগ-সহ একাধিক এলাকার কয়েকশো বিঘা জমিতে হয় গোলাপ চাষ। আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় চলতি বছরে বারে বারে সমস্যার মুখে পড়েছে ফুল চাষীরা। কখনও অনাবৃষ্টি তো কখনও বা নিম্নচাপের প্রভাবে অতি বৃষ্টি উভয়ের ফলেই নষ্ট হচ্ছে ফুল চাষ। কিছুদিন আগেই ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল ফুল চাষীদের। শীতের আবহাওয়ায় নতুন করে চাষ শুরু করেছিলেন তারা। কিন্তু বৃহস্পতিবারের অকাল বৃষ্টির ফলে আবার নষ্ট হতে চলছে গোলাপ চাষ। ফুল চাষী পুলক ধাড়া বলেন, 'আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় গোলাপ গাছের এক অজানা রোগ দেখা যাচ্ছে। পাতায় কালো রঙের দাগ পড়ছে। পাশাপাশি ঝরে যাচ্ছে ফুলের পাপড়ি। এই ফুলতো বিক্রি হবে না। উপরন্তু গাছ গুলিও বাঁচানো যাবেনা।' ফলে নতুন গাছ তৈরি করতেও সমস্যায় পড়তে হবে তাঁদের। গোলাপ চাষের উপরেই মূলত নির্ভরশীল গোটা এলাকার মানুষ। এই বৃষ্টির ফলে আর নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও সুযোগ পাবেননা চাষের সঙ্গে যুক্ত এই মানুষজনেরা।

advertisement

ফুলের পাশাপাশি উলুবেড়িয়ার বাসুদেবপুর, তুলসীবেড়িয়া, খলিশানি-সহ একাধিক এলাকায় পান চাষের ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অকাল বৃষ্টির ফলে পানের পাতা খসে যাচ্ছে। পাশাপাশি বরোজে হাওয়া ঢুকে যাওয়ার ফলে ঝড়ে যাচ্ছে পান। পান চাষী বিশ্বনাথ মাইতি জানান, 'সত্তর বছর বয়স হয়ে গেলো কোনবছর এত খারাপ অবস্থায় পড়িনি'। তিনি বলেন, 'হাওয়া বা বৃষ্টির জল ঢোকা আটকাতে ত্রিপল ও পলিথিন দিয়ে ঘেরা হয়েছে পান বোরোজ। তার জন্য খরচ হয়েছে অনেক টাকা। তাসত্ত্বেও গাছ বাঁচানো গেলোনা'। তাদের দাবি পানে দাগ ধরে যাওয়ার কারণে আগে হাজার পান বিক্রি হত ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে। এখন দাম গিয়ে দাড়িয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। সারা বছর জুড়ে একের পর এক কারণে তাদের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

ফুল, পানের পাশাপাশি আমতা, উদয়নারায়ণপুর, কুলগাছিয়া, বীরশিবপুর ও জগৎবল্লভপুরের বিস্তীর্ন এলাকায় সবজি চাষেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা । ফুলকপি, পালংশাক, কাঁচালঙ্কার সঙ্গে সঙ্গে আলু ও বেগুন মাঠেই নষ্ঠ হতে পারে বলে আশঙ্কা জেলার কৃষকদের।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
পৌষে অকাল বৃষ্টি, জেলায় চাষে প্রভাব, ক্ষতির মুখে হাওড়ার ফুলচাষিরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল