আরও পড়ুন- ১৪৭ কিলোমিটার…! ভুল লাইনে ছুটল দোতলা ট্রেন, পার করল ১৮টি স্টেশন! তার পর যা হল, অবিশ্বাস্য!
তবে এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সপ্তাহে শুধুমাত্র একদিনের জন্য। সপ্তাহের শুধুমাত্র বুধবারে সকলেই ২০ টাকার বিনিময়ে খেতে পারবেন আনলিমিটেড ফুচকা। কাটোয়া শহরের কাশীশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনেই প্রত্যেকদিন ফুচকার স্টল নিয়ে বসছেন ফুচকা বিক্রেতা শ্যামল দেবনাথ।
advertisement
আরও পড়ুন- ট্যাঙ্কের জলে ফেলে রাখুন ‘এক টুকরো’ এই কাঠ…! ১০০ বছর পরিষ্কার থাকবে জল, শরীরও রোগমুক্ত!
আর এই শ্যামল দেবনাথের স্টলেই পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০ টাকায় আনলিমিটেড ফুচকা। এই প্রসঙ্গে শ্যামল দেবনাথ জানিয়েছেন, অনেকের ইচ্ছা করে পেট ভরে ফুচকা খেতে। সকলের কাছেই টাকা থাকে, কিন্তু সবার কাছে তো বেশি টাকা নাও থাকতে পারে। তাই সকলের কথা ভেবে এই আনলিমিটেড ফুচকা দিচ্ছি। মানুষের ভিড়ে একেবারে রাস্তা ব্লক হয়ে যাচ্ছে, পুলিশের গাড়ি পর্যন্ত চলে আসছে। তবে শুধু যে আনলিমিটেড ফুচকা দেওয়া হচ্ছে তা কিন্তু নয়।
বেশি ফুচকা খেতে পারলে আবার ক্রেতাদের জন্য উপহারের ব্যবস্থাও রয়েছে। ৫০ পিস ফুচকা খেতে পারলে দেওয়া হবে একটা হাফ লিটার কোলড্রিংস একদম বিনামূল্যে। ১০০ পিস ফুচকা খেতে পারলে দেওয়া হবে একটা দু লিটারের কোল্ড্রিংস এবং ১০১ টাকা নগদ পুরস্কার। এছাড়াও দেড়শ পিস ফুচকা খেতে পারলে মিলবে ৫০১ টাকা নগদ পুরস্কার এবং সঙ্গে একটা মাটির জলের বোতল একেবারে বিনামূল্যে।
তবে শ্যামল দেবনাথ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রেখে নিজের দায়িত্বে ফুচকা খেতে হবে। অর্থাৎ উপহারের জন্য বাহাদুরি দেখিয়ে বেশি ফুচকা খেয়ে শরীর খারাপ না করায় শ্রেয়। কাটোয়া শহরের মানুষ এই আনলিমিটেড ফুচকা খাওয়ার জন্য ব্যাপক ভিড় জমাচ্ছেন। আবার অনেকসময় ক্রেতাদের দীর্ঘক্ষণ লাইনেও দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ফুচকা খেতে এসে কাটোয়া শহরের বাসিন্দা ইন্দ্রানী দত্ত বলেন, এই ফুচকার স্বাদ খুবই ভাল। বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন, তবে আমি এখনও অবধি একবারও বুধবার দিন লাইন পাইনি।
শ্যামল দেবনাথ দীর্ঘদিন ধরে এই ফুচকা বিক্রির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কাটোয়া শহরের মধ্যে শ্যামলের ফুচকার এক আলাদা নাম রয়েছে। তিনি বছরে তিনবার বিনামূল্যেও ফুচকা খাওয়ান ক্রেতাদের। পহেলা বৈশাখ, পয়লা জানুয়ারি এবং ২৫ডিসেম্বর সকলকে বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ান শ্যামল দেবনাথ। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। তবে এবার এই আনলিমিটেড ফুচকা দেওয়ার চিন্তাভাবনা একটু ভিন্ন ধরনের।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী