অন্যান্য চিত্র সংগ্রহশালাগুলির মতই, সুন্দর করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে খুবই দুর্লভ ছবিগুলি সংগ্রহ করে রাখা রয়েছে এই সংগ্রহশালায়। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবি লাগানো রয়েছে দেওয়ালে। জায়গার অভাবে অন্যান্য ছবি লাগানো সম্ভব হয়নি বলে জানা গিয়েছে। গান্ধি বিচার পরিষদের সম্পাদক কল্যাণ রায় জানান,”এই চিত্রশালা সপ্তাহে তিন দিন খোলা থাকে এই মিউজিয়াম। বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের শর্ট এক্সকার্সনে নিয়ে আসা হয় মিউজিয়ামে। এছাড়াও বছরের অন্যান্য সময় দুপুর তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে চিত্রশালাটি”।
advertisement
স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঁকুড়ার সংগ্রামীদের বিশেষ কৃতিত্ব থাকলেও, আন্দোলনের ক্ষেত্র হিসেবে অন্য জেলার মত এই জেলা ইতিহাসে ততটা স্থান পায়নি। যেখানে আন্দোলনে পাশের জেলা মেদিনীপুর বা মানভূম অগ্নিগর্ভ হয়েছে, সেখানে বাঁকুড়া ততটা উজ্জ্বল নয়। বিশেষ করে সশস্ত্র আন্দোলনে। অহিংস আন্দোলনের প্রভাব বাঁকুড়ায় তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল। কিন্তু বাঁকুড়া জেলার পাহাড়ি অঞ্চলগুলি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ঘাঁটি গারার জন্য ছিল খুবই উপযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ Malda News: সরকারি হাসপাতালে মর্গের ভিতর একী কাণ্ড! জীবিতদেরও প্রাণ ওষ্ঠাগত
প্রায়শই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আনাগোনা লেগেই থাকত বাঁকুড়ায়। এবং বাঁকুড়াতেও ছিল নামকরা প্রথম সারির বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী যেমন, বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, নরেন গোস্বামী এবং গোবিন্দপ্রসাদ সিংহ। সেই সব স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথায় তুলে ধরা হয়েছে এই চিত্রশালায়।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী