জানা যাচ্ছে, প্রথমে রোগীর আত্মীয় সেজে ভাব জমিয়েছিলেন। এরপর চায়ের অফার করেন। সেই চা খাওয়ার পরেই রোগীর পরিজনদের দু’চোখে নেমে আসে ঘুম! চোখ খোলার পর দেখা যায়, মোবাইল থেকে নগদ টাকা সব গায়েব হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নদীর জলে ‘ওটা’ কী? কাছে যেতেই হাত-পা ঠাণ্ডা হওয়ার জোগাড়! ধূপগুড়িতে তীব্র চাঞ্চল্য
advertisement
জানা যাচ্ছে, মেডিক্যালে কোনও রোগী ভর্তি থাকলে রাতে তাঁদের পরিজনরা সাধারণত মেডিক্যাল চত্বরে ওপিডি বিল্ডিং-এর নীচে থাকেন। সেখানেই কয়েকজন রোগীর আত্মীয়ের সঙ্গে আলাপ জমান ওই ‘লুটেরা’। কামারপুকুর চটিতে বাড়ি বলে দাবি করেন। তাঁর এক রোগী ভর্তি আছে বলে মিথ্যা গল্পও ফাঁদেন। এরপর প্রথমে রাত ৯টা নাগাদ উপস্থিত ৭-৮ জনকে চা খাওয়ান। তারপর রাত ১২ টা নাগাদ ফের একবার চা নিয়ে আসেন।
দ্বিতীয় দফায় অবশ্য সবাই চা খাননি। চারজন সেই চা খান। তারপর ঘুমিয়ে পড়তেই কাজ হাসিল করে চম্পট! এদিকে সকালে অনেক ডাকাডাকি করেও ওই ব্যক্তিদের ঘুম ভাঙেনি। শেষমেশ চোখ খোলার পর ‘চা-বন্ধু’র আসল কীর্তি সামনে আসে। ততক্ষণে সর্বস্ব গায়েব!
এদিকে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর সিসি ক্যামেরায় মোড়া। সেখানেই এই ধরণের ঘটনা ঘটায় প্রশ্নের মুখে এসে পড়েছে নিরাপত্তা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।