চারদিন জ্বরে ভোগার পর সোমবার উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়ার নিমতলায় মৃত্যু হয় শংকর সরকার নামে এক প্রৌঢ়র। তাঁর রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে মিলেছে এনএসওয়ান ভাইরাস। তার আগে রবিবার জ্বরে মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলারও।
হাবড়া বিধানসভার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ক্রমেই বাড়ছে জ্বর ও ডেঙ্গির প্রকোপ। একশো একত্রিশ বেডের হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এই মূহর্তে রোগীর সংখ্যা প্রায় তিনশো। তার মধ্যে সত্তর থেকে আশিজন জ্বর নিয়ে চিকিৎসাধীন। বেশ কয়েকজনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। দাবি হাসপাতাল সুপারের।
advertisement
পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নজর দেওয়া হচ্ছে পরিচ্ছন্নতার দিকে। ডেঙ্গি আক্রান্তদের কলকাতা বা বারাসতে রেফার করা হচ্ছে।
হাবড়া ছাড়াও অশোকনগর, গাইঘাটা, কুমড়া-কাশীপুর পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামীণ এলাকাতেও থাবা বসাচ্ছে ডেঙ্গি। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক, তা স্বীকার করছেন হাবড়া পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রাক্তন অধিকর্তা। ডেঙ্গি সচেতনতা শিবির করে চলছে মাইকিং।
জেলাশাসক ও বিডিওকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলেই রোগীদের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে বাড়ানো হয়েছে চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মীর সংখ্যা।
ডেঙ্গি আক্রান্ত যেসব রোগীদের অন্যত্র রেফার করা হচ্ছে, তাঁদের জন্য সোমবার থেকে বিনা খরচে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিচ্ছে হাবড়া পুরসভা। এলাকা পরিস্কারের দিকেও দেওয়া হচ্ছে বিশেষ নজর।