সেই অভিনবত্বের ছোঁয়া মিলল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সরস্বতী পুজোয়। সরস্বতী পুজোর নিমন্ত্রণ পত্রে ছড়ার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। হাতে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের আমন্ত্রণ পত্রের ভিতরে থাকছে পড়ুয়াদের নিজেদের লেখা কবিতাও।এই আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছে যাচ্ছে ছাত্র ছাত্রী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষদের কাছে। প্রতিটি হস্টেলে সেই কার্ড নিজে হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন পড়ুয়ারা। পৌঁছে দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের কাছেও।
advertisement
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলিতে সরস্বতী পুজো মানে উৎসবের পরিবেশ। পুজোর দুটি দিন এক হস্টেল থেকে অন্য হস্টেলে চলে অবাধ যাতায়াত। থিম বৈচিত্র্যে একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা।
সেই উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় মাস খানেক আগে থেকেই। সেই পুজোর অন্যতম অনুষঙ্গ এই হাতে লেখা নিয়ন্ত্রণের চিঠি। হাতে তৈরি আমন্ত্রণ পত্র দিয়েই একে অপরকে আমন্ত্রণ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকরা। আমন্ত্রণ পত্র খুললেই দেখা যাচ্ছে পড়ুয়াদের হাতে আঁকা নানা কাজের নজির। ভেতরে ছড়ার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার বার্তাও দিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি পুজোর নিমন্ত্রণ পত্রও হাতে লেখা।
পড়ুয়ারা বলছেন ছাপানো কার্ড বা ডিজিটাল কার্ড অনেক নকশা কারুকার্য করা যায়। কিন্তু তার মধ্যে সেই প্রাণের উষ্ণতা সেভাবে ধরা পড়ে না। প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে আমন্ত্রণপত্র হাতে লিখে তৈরি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথা চলে আসছে। একইভাবে নিমন্ত্রণ জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক অধ্যাপকদের। সব ছাত্রাবাসই অভিনবত্বকে ধরতে চায়। এই আমন্ত্রণ পত্রে দেওয়া হয় নানা বিষয়ে সচেতনতার বার্তাও।