কেমিক্যাল হাব গড়ে তুলতে চাষের জমি দখলের চেষ্টা। বাধা এসেছিল চাষিদের তরফে। সেই বাধা সরাতে একের পর এক গুলি বেরিয়ে আসে পুলিশের বন্দুক থেকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান চোদ্দোজন। ২০০৭-এর ১৪ মার্চ ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন ক্ষমতায় এলে নন্দীগ্রামের অভাব-অভিযোগ মেটাবেন। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কথা রেখেছেন তিনি। অনেক উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি। নন্দীগ্রাম হয়েছে স্বাস্থ্য জেলা। সেদিন সংঘর্ষের সময় ভাঙাচোরা ব্লক হাসপাতাল দেখেছিল রক্ত-কান্না-আর্তনাদ। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ভাবতেও পারতেন না নন্দীগ্রামের মানুষ। এখন সেই ব্লক হাসপাতালের পাশেই তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। তমলুক বা কাঁথি হাসপাতালে যেতে দীর্ঘ রাস্তা পেরোনর দিন ফুরিয়েছে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে উন্নত পরিষেবা পাচ্ছে নন্দীগ্রাম। রোগীদের ভরসার ঠিকানা এই হাসপাতাল।
advertisement
নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল
------------------------------------
- উন্নত প্যাথলজি ল্যাব, আধুনিক ওটি
- বহির্বিভাগে পর্যাপ্ত চিকিৎসক
- অস্থি, চর্ম, দন্ত-সহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
- প্রতিদিন গড়ে ৩,০০০ রোগী আসেন
রোগীদের সহায়তায় হাসপাতালে বসানো হয়েছে লিফটও। সিঁড়ি বেয়ে ওঠার ঝক্কি কমেছে অসুস্থদের। নন্দীগ্রামের মানুষকে উন্নত ও আধুনিক পরিষেবা দিতে পেরে খুশি প্রশাসনও।
একসময় নন্দীগ্রামের গলায় ছিল আক্ষেপ আর হতাশা। উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত নন্দীগ্রাম ছিল নেই রাজ্যের বাসিন্দা। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে কেটেছে দুর্দিন। চিকিৎসা পরিষেবায় গতি এসেছে। স্বাস্থ্য ফিরেছে নন্দীগ্রামের। হাসি ফুটেছে নন্দীগ্রামের মুখে।