বর্ধমানের কাছারি রোডে এলেই দেখা যেত রাস্তার দু’ ধারে লাইন দিয়ে বসে আছেন টাইপিস্টরা। প্রত্যেকের কাছে ভিড় করে আছে বিভিন্ন সরকারি দফতর ও কোর্টে আসা লোকজনেরা।বর্তমানে আর প্রায় দেখা যায় না সেই ছবি।সেই একই জায়গাতেই বসে থাকেন টাইপিস্টরা। তবে কাছারি রোডে জমে ভিড়। কিন্তু আর সেই ভিড় নেই টাইপিস্টদের কাছে,চেনা ছবিটা যেন আজ প্রায় অচেনা হয়ে উঠেছে।কোনও রকমে কাজ করে চলে সংসার। আগে যেখানে দিনে রোজগার ছিল প্রায় ১০০০ টাকা, এখন সেটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকা। তাও হয় না কোনও কোনও দিন।
advertisement
আরও পড়ুন : খেলা শেষ দামি কলপ, কালারের! ‘এই’ ফলের খোসার পেস্ট মাথায় দিলেই উধাও সাদা চুল! কালো হবে সব পাকা চুল!
টাইপিস্টরা বলেন,কেউ ৩০ বছর কেউ বা তার থেকেও বেশি সময় ধরে এখানে টাইপের কাজ করছে।আগে খাওয়ার সময়টুকুও পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন কাজের সংখ্যা খুবই কম। কমেছে টাইপিস্টের সংখ্যাও। তারপর সব পুরনো মেশিন। টাইপমেশিন খারাপ হলে তা সারানোর লোকও নেই। সেই ঠকঠক শব্দ আজ কেবলই স্মৃতিতে ফিসফিস করে।এই নিঃশব্দতা যেন একটি পেশার বিলুপ্তি। অসংখ্য মানুষের জীবনযুদ্ধের এক করুণ প্রতিচ্ছবি।