তিন বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয় এই দুই নারীর। নমিতা জানান, প্রথমে সাধারণ আলাপচারিতা, পরে তা প্রেমে রূপ নেয়। দুই বছর আগে থেকে তারা সম্পর্কে জড়ান এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। “আমরা পরস্পরকে ভালোবাসি। তাই আজ সব কাগজপত্র ঠিক করে এখানে বিয়ে করতে এসেছি,” বলেন নমিতা।
ব্যক্তিগত জীবনে দুজনেই আগে বিবাহিত ছিলেন। নমিতা কয়েক বছর আগে ডিভোর্সের পর চার বছরের এক পুত্রসন্তান নিয়ে থাকেন। সুস্মিতারও ৮ বছরের একটি কন্যা রয়েছে, যাকে তিনি স্বামীর কাছেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
advertisement
নমিতা বর্তমানে কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন, যদিও তাঁর মূল বাড়ি মালদার ইংরেজবাজারে। সুস্মিতা খয়রাশোলের মেয়ে। নমিতা বলেন, তাঁর বাবা-মা কেউ আর বেঁচে নেই। তবে সুস্মিতার বাবা-মা মেয়ের এই সম্পর্ককে মেনে নিয়েছেন।
বিয়ের খবর ছড়াতেই দুবরাজপুরে ভিড় জমায় স্থানীয় মানুষ। কৌতূহল আর শুভেচ্ছায় ভরে ওঠে শিব মন্দির প্রাঙ্গণ। সামাজিক মাধ্যমে প্রেম থেকে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার এই ঘটনা ফের প্রমাণ করল ভালবাসার কোনও বাঁধন নেই, নেই লিঙ্গের সীমারেখা।