এ দিন নিজেদের বিয়ের রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত কাজে দুবরাজপুর আদালতে এসেছিলেন বীরভূমের খয়রাশোলের বাসিন্দা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় এবং মালদহের বাসিন্দা নমিতা দাস৷ সুস্মিতা এবং নমিতার দাবি, সাত দিন আগে একটি শিব মন্দিরে বিয়ে করেছেন তাঁরা৷ নমিতার দাবি, সুস্মিতার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন দু জনে৷
নমিতা দাসের বয়স ৩১, সুস্মিতার ২৮৷ কয়েক বছর আগে নমিতা দাসের বিবাহবিচ্ছেদ হয়৷ তাঁর একটি চার বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে৷ অন্যদিকে সুস্মিতাদেবীও স্বামীর সঙ্গে মিউচুয়াল ডিভোর্সের পথে এগোচ্ছেন৷ সেই কারণেই এ দিন আদালতে এলেও রেজিস্ট্রির আবেদন করতে পারেননি তাঁরা৷
advertisement
নমিতা দাস জানান, গত তিন বছর আগে ইনস্টাগ্রামে আমাদের পরিচয় হয়। সেখান থেকেই প্রেম শুরু হয়। তবে দু বছর আগে থেকে আমরা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। তখন থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিই আমরা পরস্পরকে বিয়ে করব। আমার বাড়িতে কেউ নেই৷ বাবা-মা মারা গিয়েছেন। তবে সুস্মিতার বাবা মা
আমাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন। নমিতা দাস আরও জানান, আমার বাড়ি মালদহ জেলার ইংলিশবাজার এলাকায় হলেও আমি কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকি। তিনি আর্ট কলেজের প্রফেসর বলে জানিয়েছেন নমিতা। সুস্মিতার বাড়ি বীরভূম জেলার খয়রাশোলে। দুই মহিলার বিয়ের খবর শুনে এবং তাঁদের দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন।