সূত্র মারফত জানা গিয়েছে,মেমারি থেকে অ্যাক্টিভেটেড সিম নম্বর ও হোয়াটস অ্যাপ ওটিপি পাকিস্তানের এক এনজিও-র সঙ্গে শেয়ার করেছিল ধৃত দুই যুবক। কেন হঠাৎ পাকিস্তানে শেয়ার করা হল নম্বর? তাঁরা কি নিয়মিত পাকিস্তানে ভারতের গোপন তথ্য পাচার করতেন? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে এসটিএফ৷
পাকিস্তানি চর সন্দেহে গ্রেফতার রাকেশ গুপ্ত বর্ধমান থানার পাশেই একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। পেটে যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়া মাত্রই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
advertisement
অন্যদিকে মুকেশ রজক ধরা পড়ে মেমারির একটি ভাড়াবাড়ি থেকে। মুকেশ রজক মেমারির দিঘির পাড় পাওয়ার হাউসের কাছে একটি ঘরে থাকতো। সেই ঘরে যাওয়া আসা ছিল রাকেশ গুপ্তরও। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বর্ধমান থেকেই চলছিল পাকিস্তানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’। ফেসবুকে আলাপ হয় পড়শি দেশের চরের সঙ্গে। এর পর সেখানে পাঠানো হয় মোবাইলের সিম। সিম অ্যাক্টিভেট করার ওটিপিও সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এখন প্রশ্ন হল, ভারতের সিম নিয়ে কি কাজ করা হচ্ছিল পাকিস্তানে? গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে ভারতের গোপন তথ্য পেতেই কি এই সিম ব্যবহার করা হচ্ছিল পাকিস্তানে? ধৃতদের জেরা করে সেই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা৷
ওটিপি দেওয়ার পর তা ভারতের গোয়েন্দাদের নজরে আসে। শুরু হয় মুকেশ রজক ও রাকেশ কুমার গুপ্তর কার্যকলাপের উপরে তীক্ষ্ণ নজরদারি। দুই যুবকের গতিবিধি থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বেশ কিছু তথ্য পান গোয়েন্দারা। বিষয়টি জানানো হয় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-কে। এরপরই তাঁদের জালে তোলে এসটিএফ। দু জনকেই হেফাজতে নিয়ে এখন জেরা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেই জেরায় কী কী তথ্য উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।