আপাতত তিনি প্রতিবেশীদের শোনাচ্ছেন ভূমিকম্পের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা৷ শোনাচ্ছেন, কীভাবে ৮০ ঘণ্টা ধূলিসাৎ দেওয়ালের নীচে চাপা পড়ে বেঁচেছিল এক শিশু, কীভাবে মানুষ আর্তনাদ করছিল বাঁচার জন্য৷ তবে উদ্ধার কাজ শেষে বাড়ি ফেরায় অরিন্দমকে নিয়ে দারুণ গর্বিত পাড়ার লোক থেকে শুরু করে গোটা সিউরিবাসীয। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হতে ফুল নিয়ে আসছেন মানুষ। এমনকি রাস্তায় বের হলে অরিন্দমকে ঘিরে ধরছেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখের আগেই চরম গরম রাজ্যে, কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা! আবহাওয়ার আপডেটে চামড়ায় 'জ্বালাতঙ্ক'
ভূমিকম্পে নিমিষেই বিধ্বস্ত হয় সিরিয়ার একাধিক অঞ্চল। এমন অবস্থায় একদিনের মধ্যেই তুরস্কের পাশে দাঁড়ায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের এনডিআরএফ টিম। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে বহু মানুষের জীবন বাঁচান তাঁরা। তাঁদের দল এই উদ্ধার কার্য চালান টানা ১০দিন ধরে। তারপর উদ্ধারকার্য শেষে দেশে ফিরতেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে সংবর্ধনা পান অরিন্দমও।
তাঁর প্রতিবেশীদের একজন বলে , "আমরা সকলে অরিন্দমের জন্য গর্বিত। ওর মুখ থেকে নানা গল্প শুনেছি। মোবাইলে সেই সব ছবিও দেখেছি । সত্যিই ও যেভাবে এই কাজে শামিল ছিলো তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি । জওয়ানের পোশাক পরে এমন কাজ করার সুযোগ তো আর সবার জীবনে আসে না। "
তবে অরিন্দম অবশ্য বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন একজন জওয়ান হিসেবে দায়িত্ব কর্তব্যের কথা । তিনি বলেছেন , "এনডিআরএফ-এর কাজই হল প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাৎক্ষণিক ঝাঁপিয়ে পড়া । ত্রাণের কাজ থেকে উদ্ধার কাজ সবেতেই এই বিভাগের জওয়ানরা কাজ করেন। যখনই এ দেশ কিংবা অন্য কোনও দেশে বন্যা , ভূমিকম্প , ঝড় ইত্যাদি দুর্যোগ ঘটেছে তখনই জওয়ানরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এবারও আমাদের বাটালিয়ান ঘটনার পরের দিনই পৌঁছে যায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছি । তাঁর বাসভবনে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতাও স্মৃতির মণিকোঠায় বেঁচে থাকবে আমৃত্যু। তুরস্কের ভয়ানক স্মৃতিও আমার জীবনসঙ্গী । তবে অবশ্যই তা যন্ত্রণার। "