এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিজেপিকে একটা সুযোগ দিন। ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়তে দিন, দেখুন কত দ্রুত উন্নয়ন হয়। ত্রিপুরা দেখুন, সেখানে কমিউনিস্ট, বামপন্থীরা ৩০ বছর বরবাদ করেছিল। ত্রিপুরাবাসী আমাদের সুযোগ দিয়েছে। আমরা উন্নয়ন করেছি।”
এরপরেই তিনি বলেন, “বাংলার এমন সরকার দরকার, যারা দ্রুত গতিতে উন্নয়ন করবে। যখন ওখানে নিজে যাব, আরও কথা বলব।”
advertisement
এইদিনের টেলিফোনের বার্তায় ঘুরে ফিরে আসে মোদির গঙ্গা প্রবাহের প্রসঙ্গও।
এই বিষয়ে তিনি জানান, গঙ্গা যেমন বিহার থেকে বাংলায় প্রবাহিত হয়েছে। তেমনই বিহারের জনাদেশে এনডিএ সরকার গঠিত হয়েছে। সেভাবেই পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি সরকার গঠন হবে।
এই প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে জিএসটি বাঁচানোর পদক্ষেপ করা হয়েছে। রাজ্যে দু’টি বড় সড়ক প্রকল্প হয়েছে। তাতে সংযোগ বেড়েছে। গত মাসে বিহারে এনডিএ সরকার জনাদেশ পেয়েছে। তার পরে বলেছিলাম, গঙ্গাজি বিহার থেকে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গায় পৌঁছোয়। গঙ্গা বাংলাতেও বিজেপির জয়ের রাস্তা তৈরি করেছে।’’
প্রসঙ্গত, শনিবার বেলা ১২টায় রানাঘাটের তাহেরপুরে সভায় আসার কথা ছিল মোদির। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় তাহেরপুরে নামতে পারেনি প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। ফলে ফের দমদম বিমানবন্দরে ফিরে আসেন তিনি। প্রথমে ঠিক হয় তিনি হয়ত সড়কপথে সভাস্থলে যাবেন। কিন্তু, শেষে তিনি টেলিফোনেই সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বার্তা দেন।
তিনি নিজের বক্তব্য শুরু করেন ‘জয় নিতাই’ বলে। এরপরেই তিনি সভায় অনুপস্থিত থাকার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, “আমি ক্ষমা প্রার্থী । আবহাওয়া খারাপের কারণে আমি আপনাদের কাছে পৌঁছাতে পারলাম না । টেলিফোনের মাধ্যমে আমি আপনাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।”
এরপরেই তাঁর বক্তব্যে কখনও উঠে আসে বন্দে মাতরম প্রসঙ্গ আবার কখনও তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে তিনি ‘মহাজঙ্গলরাজ’ বলে কটাক্ষ করেন। এরপরেই তিনি রানাঘাটের মানুষদের কাছে বিজেপিকে একটা সুযোগ দিতে বলেন। তিনি বলেন, “বিজেপিকে একটা সুযোগ দিন। দেখুন কী উন্নয়ন করি।”
