সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলমহলের সফরের পরেই এই বিষয়ে রাজনৈতিক ভাবে জোর প্রচার শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস।বিষয়টিকে যে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার, তা বোঝা গিয়েছিল গত ৬ জুলাই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। ক্যাবিনেট বৈঠকে এই বিষয়ে রাজ্য একটি নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাস করিয়েছে। উপজাতীয় সম্প্রদায়ের একটি অংশের জন্যে ‘সারনা’ ধর্মের স্বীকৃতির বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে এই বিষয়ের উপরে বিলও আনা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যাবিনেট।
advertisement
আরও পড়ুন- বিখ্যাত হয়ে গেল মাগুরার বুদ্ধদেবের চপের দোকান
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আদিবাসী এলাকায় এই বিষয়টিও প্রচারে তুলে ধরবে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি রাজ্যের আদিবাসী সমাজের জন্য বর্তমান রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথাও প্রচারে তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সারি ধর্ম নিয়ে রাজ্য সরকার চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে ৷ সেই ইস্যুকে তুলে ধরতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশাসনিক স্তরেও শুরু হয়েছে ব্যস্ততা ৷ বিভিন্ন বিধায়কদের এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮ লাইনের এই চিঠিতে রাজ্যের প্রচেষ্টার কথা ছত্রে ছত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আদিবাসী সমাজের এই ভাবাবেগকে রাজ্য সরকার সবসময় সম্মান দিয়েছে এবং এই দুই ধর্মের স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়ে অনেক আগেই, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- 'অভিযুক্তের বাড়িতে আপনার দলিল!' এবার দিলীপ ঘোষকে নিশানা খোদ মমতার! তুঙ্গে জল্পনা
একাধিকবার কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত নীরব। মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, রাজ্য সরকারের এই প্রয়াস নিশ্চয় ফলপ্রসূ হবে ও রাজ্যের আদিবাসীদের আশা যথা শীঘ্র পূরণ করা যাবে। রাজ্যের এই প্রচেষ্টার কথা প্রত্যেক বিধায়ককে তাঁর এলাকার আদিবাসী সমাজের মানুষের কাছে যথাযথ ভাবে তুলে ধরতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আদিবাসী এলাকায় প্রচার চালাবে তৃণমূল কংগ্রেস। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য কী কী কাজ করা হয়েছে, ঘরে ঘরে গিয়ে তার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হবে। সেই কাজে মন্ত্রী-বিধায়কদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।