প্রতি বছর বছরের মাঘের শেষের দিকে বাবুই জাতীয় ঘাস কাটার জন্য এই উৎসব হয়ে থাকে। এই সময় ‘গোড়েৎ মাঝি’ হাড়িয়া তৈরির উদ্দেশে প্রতি গৃহস্থের নিকট হতে একটু করে চাল বা বাজরা সংগ্রহ করেন। ‘নায়কে’ স্নান করে মুরগি পুজো করেন।
এছাড়াও আদিবাসীরা তাঁদের উপাস্য দেবতাদের পুজো দিয়ে গত বছরের অতীতে পারমানিক, জগমাঝি, জগপারমানিক, গোড়েৎ মাঝি, নায়কে, কুড়ান নায়কে প্রভৃতি সাঁওতাল সমাজের প্রধান পদাধিকারীরা পদত্যাগ করেন এবং নতুন কমিটি নির্ধারণ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : স্টেশনের কাছে গ্যারেজে পড়ে সাইকেল…এখনও সন্ধান মিলল না হালিশহর থেকে নিখোঁজ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর
বাংলায় পহেলা বৈশাখ দিনটিকে বছরের প্রথম দিন হিসেবে যেভাবে পালন করা হয়। ঠিক তেমনভাবেই আদিবাসী সম্প্রদায় এই উৎসব পালন করেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গঙ্গাসাগরের খাস রামকর এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
এ নিয়ে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সুনীল সোরেন জানান, পূর্বপুরুষের এই পুজো তাঁরা এখনও পালন করেন। আগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন জঙ্গলে বাস করতেন, তখন থেকেই এই পুজো হয়ে আসছে। ফলে এটি একটি ঐতিহ্য তাঁদের কাছে।