নামে অটো হলেও আসলে সেগুলি হয়তো সরকারি খাতায় বাস, পিক-আপ ভ্যান কিংবা গুডস ভেহিকেল হিসেবে নথিভুক্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা থেকে যাত্রীরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে এমনই বহু অটো চলাচল করছে যেগুলির বৈধ কোনও নথিপত্র নেই। এমনকী, নম্বর প্লেট যাচাই করলে দেখা যাচ্ছে অন্য ধরনের গাড়ির নামে রেজিস্ট্রেশন করা।
আরও পড়ুন- ভারতীয় পোস্টের অভিনব উদ্যোগ! এবার সুন্দরবনের ৮ কিংফিশারকে দেখা যাবে পোস্ট কার্ডে
advertisement
এতে যাত্রীদের বিপদের আশঙ্কা বহু গুণ বেড়ে যাচ্ছে বলেও মনে করেন তাঁরা। রাস্তায় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ইন্সুরেন্সের কোনও সুযোগও থাকে না, কারণ নথিপত্রেই গড়বড়। যাত্রীদের অনেকেই বলছেন, এই বেআইনি অটোগুলির পেছনে রয়েছে এলাকার কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের হাত। সেখান থেকেই বিভিন্ন রুটের অটোচালকদের থেকে তোলা হয় টাকাও। তার ফলেই বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও, প্রশাসনের নাকের ডগায় নির্ভয়ে চলছে যাত্রী পরিষেবার এই ব্যবসা।
এ বিষয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী আগেই স্বীকার করেছেন যে রাজ্যের অনেক জেলাতেই বেআইনি অটো চলছে। তবে তিনি এও জানান, এই পেশার সঙ্গে বহু গরিব মানুষ যুক্ত। তাই আইন মেনে কীভাবে এদের বৈধতা দেওয়া যায় তা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আরটিওর সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। তবে প্রশাসনিক তরফে যতই আশ্বাস দেওয়া হোক না কেন, যতদিন না ভুয়ো নম্বর প্লেট লাগানো বেআইনি যান চলাচলের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, ততদিন সাধারণ যাত্রীদের সুরক্ষা থাকছে প্রশ্নচিহ্নের মুখেই।
Rudra Narayan Roy