রাজবাড়ির আঙিনায় এখন সাজসজ্জার ব্যস্ততা তুঙ্গে। খড়কুটো দিয়ে কাঠামো বাঁধা, মাটির লেপনের কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীদের দক্ষ হাত। প্রতিমার রূপ দেওয়ার সেই চিরচেনা দৃশ্যেই যেন ভেসে ওঠে বাংলার ঐতিহ্য। রাজপুরোহিত শিবু ঘোষাল জানালেন, “মা দুর্গাকে এখানে স্নান করানো হয় বিভিন্ন তীর্থস্থানের জল দিয়ে। পোশাক আসে অসম, কলকাতা এমনকি ওপার বাংলার হাত ধরেও।” প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় রাজবাড়ির পুজো প্রস্তুতি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কেউ খুঁটিয়ে দেখছেন প্রতিমার সাজসজ্জা, কেউ আবার মাটির কাজে শিল্পীদের হাতের খেলা উপভোগ করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের একাদশীতে আদিবাসীদের লোক পার্বণে উদযাপিত কৃষি ও প্রকৃতির জয়গান
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, “এটা শুধু রাজবাড়ির পুজা নয়, জলপাইগুড়ির গর্ব। প্রস্তুতি না দেখলে যেন উৎসবই অসম্পূর্ণ।”এই পুজো ঘিরে রয়েছে নানা রীতি-নীতি আর রহস্য। পুরনো প্রথা মেনে আজও চলতে থাকে সেই সব আচার-আচরণ, যা একে আলাদা করে তোলে অন্য পুজো থেকে। তাই রাজবাড়ির দুর্গোৎসব কেবল পূজা নয়, এটি যেন এক অমূল্য স্মৃতির ভান্ডার।এবারও শরতের আবাহনে বৈকন্ঠপুর রাজবাড়ি ঢুকে পড়েছে উৎসবের উন্মাদনায়।