অষ্টমীর দিনে এখানে ভোগ খেতে ভিড় জমে। বিসর্জনের দিন আজও প্রথা মেনে প্রতিমা ২৪ জন বেয়ারার কাঁধে চেপে নিয়ে যাওয়া হয় টাকির রাজবাড়ি ঘাটে। তারপর শহরের অন্যান্য মণ্ডপ থেকে প্রতিমা বেরোয়। এক সময় এই বাড়ির নবমী পুজোর দিনে বন্দুকের টোটা ফাটিয়ে মহিষ বলির প্রথা ছিল। আজ আর সেই দিন নেই, নেই জমিদাররাও। তবুও টাকি আছে, আর টাকির জমিদারবাড়ির পুজোর গৌরব আজও অটুট। এখনও প্রথা মেনে দুর্গাদালানেই কাঠামো পুজো হয়।
advertisement
চালকুমড়ো ও আখ বলির রীতি আজও চালু আছে। বিসর্জনের দিন বাড়ির মহিলারা একত্রিত হয়ে মায়ের বরণ ও সিঁদুরখেলার প্রথা পালন করেন। শেষে প্রতিমা কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হয় ইছামতী নদীর ঘাটে, যেখানে বিসর্জন সম্পন্ন হয়। প্রতি বছর পুজোর কয়েকটা দিনই পুবের বাড়িতে রূপ নেয় বড় মিলনমেলার। আত্মীয়-স্বজন যে যেখানে থাকুন না কেন, সকলেই ছুটে আসেন এই বাড়িতে। একসঙ্গে মেতে ওঠেন আনন্দ-উৎসবে। পুবের বাড়ির পুজো তাই শুধু পূজা নয়, বরং ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পারিবারিক মিলনের অমূল্য সাক্ষী।