কথিত আছে, ১২৬২ সালে রামকুমার চক্রবর্তী প্রথম এই পুজোর প্রচলন করেন। তিনি নিজেই দেবীর আরাধনা শুরু করেছিলেন। শোনা যায়, পদব্রজে ভ্রমণ শেষে ব্রহ্মডাঙ্গা, অর্থাৎ বর্তমান রানাঘাটে দুর্গাপুজোর সময় পৌঁছলে দেবী তাঁকে স্বপ্নাদেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনে তিনি পাঁচ বাড়ি ভিক্ষা করে দুর্গাপুজো শুরু করেন। সেখান থেকেই প্রথা অনুসারে মা দুর্গা আজও “বুড়ো মা” নামে পূজিত হয়ে আসছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : সময়ের পলিমাটিতে ম্লান জৌলুস, ঠাকুরদালানে ইতিহাসময় কড়িবড়গার নীচে সাবেক দুর্গাপুজোয় অমলিন নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা
এই পুজো সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতারও এক অলৌকিক কাহিনি, যা এর ঐতিহ্যকে আরও উজ্জ্বল করেছে। প্রতিদিনই হাজার হাজার ভক্ত বুড়ো মার পুজোয় অংশ নিতে রানাঘাটে আসেন। ভক্তদের বিশ্বাস, এখানে মনোবাসনা পূর্ণ হলে দেবীর সামনে ধুনো জ্বালাতে হয়। এই বিশ্বাসে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভক্তদের আনাগোনা অব্যাহত রয়েছে। আজও সমান শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে পুজিত হন বুড়ো মা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শর্মা বাড়ির এই পুজো শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।