বর্তমানে সেই জমিদারি নেই। তবে জমিদারি না থাকলেও রয়েছে বাড়ির অভিজাত্য। তাকে আঁকড়ে ধরেই এখনও বংশ পরম্পরায় হয়ে আসছে পুজো। প্রায় ৩০০ বছরের বেশি প্রাচীন কাল ধরে এই পুজো হয়ে আসছে আসানসোলের বড়তোড়িয়া গ্রামের মণ্ডল বাড়িতে। পরিবারের প্রবীণ সদস্য অজিত কুমার মণ্ডল বলেন, প্রায় ৩০০ বছরের বেশি প্রাচীন এই পুজো।
advertisement
আরও পড়ুন : টানা বৃষ্টি, তবু দমেনি শিল্পীর হাত! শান্তিপুর থেকে তিলোত্তমার পথে রওনা উমার! মুখ ঢাকল সেই প্লাস্টিকে
আসানসোলের বড়তোড়িয়া গ্রামে রয়েছে মণ্ডল পরিবারের প্রাচীন পুজো। ব্রাহ্মণ হলেও তাঁদের পাওয়া উপাধি ‘মণ্ডল’। আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছরের বেশি সময় আগে পরিবারের সদস্য কংস মণ্ডল এই পুজো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তখন থেকেই ধারাবাহিকভাবে পুজো হয়ে আসছে। জানা যায়, মণ্ডল বাড়ির পূর্বপুরুষ কাশীপুরের রাজার বাড়িতে পুজো করতেন। এরপরে রাজা সন্তুষ্ট হয়ে বড়তোড়িয়া মৌজা দান করেন। তারপর থেকেই এই মণ্ডল বাড়িতে সূচনা হয় দুর্গাপুজো। রীতিনীতি মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে দুর্গাপুজো। পুজোয় মা দুর্গাকে চার দিন বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয়। সপ্তমীতে অন্ন ভোগে কুমড়ো, পুঁই শাক, কচু দিয়ে সবজি ও পরমান্ন দেওয়া হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অষ্টমীতে বলি প্রথা আছে। সেদিন লুচি, সুজি ও বিভিন্ন ফল দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। নবমীতেও বলি প্রথা রয়েছে। সেদিন বলির পাঁঠার মাংস দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। সেই প্রসাদ প্রতিটি বাড়িতে দিয়ে আসেন মণ্ডল বাড়ির সদস্যরা। দশমীতে নিজের পুকুর থেকে মাছ ধরে সেই মাছ পোড়া ভোগে নিবেদন করা হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় দই সহযোগে পান্তা ভাত।