এই প্রসঙ্গে ভট্টাচার্য পরিবারের এক সদস্য বলেন, আগেকার দিনে তখন তো আর ঘড়ি ছিল না । তাই ঘড়ি না থাকার কারণে আমাদের পূর্বপুরুষ যারা পুজো করে গেছেন জল ঘড়ি দেখেই করেছেন। দুটো তামার বাটি আছে, একটা বাটি জলে ডোবে ১৮ মিনিট পর এবং আর একটা ২৪ মিনিট পর । এই সময় হিসাব করেই সন্ধি পুজো শুরু হয় ।
advertisement
আরও পড়ুন: ঢাকার বিক্রমপুরের দুর্গাপুজো এখন হয় ক্যানিংয়ের ভট্টাচার্য বাড়িতে! কারণ চমকে দেবে
পরিবারের সদস্যদের কথায় জানা গিয়েছে নবমীর দিন দেবীর ঘট আনা হয়। এর পরই শুরু হয় আরাধনা। একই মন্দিরে দুটি দেবী প্রতিমার আরাধনা কেন হয়, সেই প্রসঙ্গে পরিবারের সদস্য তথা পুরোহিত সমীর কুমার ভট্টাচার্য জানান,আমাদের পূর্বপুরুষ রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের, একমাত্র পুত্র ছিলেন যাদবেন্দ্র ভট্টাচার্য। তার পুত্র ছিলেন রুদ্ররাম ভট্টাচার্য। এবং তার দুই ছেলে বড় জয়রাম ভট্টাচার্য এবং ছোট ছেলে হরিরাম ভট্টাচার্য । এই দুই ভাইয়ের মধ্যে ভাগ হয় এবং দুটো পুজো সেই থেকে আজও অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে জয়রাম ভট্টাচার্য পুজো শুরু করার কয়েক বছর পর পুজো শুরু করেন হরিরাম ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে মাত্র ৩০ মিনিটে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করুন! ঝলমলে চুল পেতে জানুন পদ্ধতি!
আগে পুজোর নির্ঘণ্ট অনুযায়ী সন্ধিপুজোয় বন্দুকের গুলি ছোড়ার রেওয়াজ ছিল। তবে বর্তমানে সেই প্রথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গুলির আওয়াজ বন্ধ হলেও, আজও সন্ধিপুজোর সময় পূর্ব পুরুষের নাম ধরে ডাক দেন পরিবারের সদস্যরা। সেই ডাকের ওপর নির্ভর করে থাকেন আশপাশের গ্রামের পুজো উদ্যোক্তারা। এই পরিবারের সন্ধি পুজোর নিয়ম অনুসারে আশপাশ গ্রাম সহ অন্যান্য পরিবারের সন্ধিপূজো সম্পন্ন হয়। পুজো শেষে দশমীতে কাঁধে চাপিয়ে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। আয়োজন করা হয় আতসবাজিরও। আর এভাবেই এলাকার বনেদী বাড়ির পুজো হিসেবে মানচিত্রে, নিজস্ব ঐতিহ্য বহন করে দোনা ভট্টাচার্য পরিবারের দুর্গা পুজো।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী