TRENDING:

দেশ ভাগের যন্ত্রণার উপর দশমীর শুভেচ্ছার প্রলেপ জুটল না এ বার টাকিতে

Last Updated:

নদীর দুই পারে দুই দেশ। একে অপরের ঠাকুর দেখার, শুভেচ্ছা বিনিময়ের সবেতেই ভরসা এই বিজয়া দশমী। এ বছর সেটাও বন্ধ হয়ে গেল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
RAJARSHI ROY
advertisement

#টাকি: এ পার বাংলা আর ও পার বাংলার মিলন হল না মাঝ দরিয়ায়। বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ে বাধ সাধলো প্রহরীর রক্তচক্ষু। নিউ নর্ম্যালে দিঘা, মন্দারমনিতে যথেষ্ট ট্যুরিস্ট নিয়ে বানিজ্য বাঁচলো। আর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট টাকি তাকিয়ে থাকে দশমীর দিকে।প্রতি বছর শরতের কাঁচামিঠে রোদকে জড়িয়ে নিয়ে  ইছামতীর বুকে ভেসে পড়ে কয়েক শো নৌকা। কোনটায় ১০ জন তো কোনটায় ২৫ জন। অবিভক্ত ভারতে এই টাকিকে ঘিরে ছিল ব্যবসা বানিজ্য ও জমিদারি। ইছামতী নদীর দু’পারে ঠাকুর নিয়ে এসে ভাসন হত এই নদীতে। দেশ ভাগের পর সব বদলে যায়। নদীর দুই পারে দুই দেশ। একে অপরের ঠাকুর দেখার, শুভেচ্ছা বিনিময়ের সবেতেই ভরসা এই বিজয়া দশমী। পড়ন্ত দুপুরে নদীর বুকে ভেসে ভেসে এ গ্রামের মানুষ, সে গ্রামের মানুষকে ঠাকুর দর্শন করিয়ে আসছে বছরের পর বছর। করোনা অতিমারীর এই সময় সেই বিসর্জনের উৎসবে বাধা হয়ে দাঁড়াল।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, এসব করতে গিয়ে মিস করেছেন প্রতিমা দর্শন? চিন্তা কীসের!
আরও দেখুন

দিঘা আর মন্দরামণির বিচে উৎসবের আমেজে মানুষ মেতে আছে। আর উত্তর ২৪ পরগনায় নৌকা বিলাসে বিসর্জন দেখার  সুযোগ হল না এ বার। অষ্টমীর পর ইছামতীর পাড়ে হোটেল ও গেষ্ট হাউসে কিছু মানুষ এসেছিলেন বিসর্জন দেখবেন বলে। সকাল সকাল নৌকাও ভাড়া করে রেখেছিলেন তাঁরা। টাকিতে পুূরসভার তিনটি আর বেসরকারি গেস্ট হাউস রয়েছে। টানা লকডাউনে সবার ব্যবসা বন্ধ ছিল। বিসর্জনকে ঘিরে কিছু ব্যবসার আশায় ছিলেন তাঁরাও। টাকির ইছামতীতে এ বছর বিসর্জন হবে না বলে খবর আগেই বাজারে রটে গিয়েছিল। তবু বা দু-চার জন শেষ বেলায় ইছামতীর পাড়ে হাজির হন। কিন্তু প্রশাসনের বাধায় বাঙালির মিলনের আবেগে বাঁধ সাধল। কলকাতা থেকে আসা দেবস্মিতা পালের আশা ছিল, দুই বাংলার মিলন দেখবেন ইছামতীর বুকে। কিন্তুু কোথায় কী? ওপারের দু’টো ঠাকুর নদীর পাড়ে আর এপারের গোটা পাঁচেক ঠাকুর নৌকায় ভাসল। এই দিয়ে কি টাকির ভাসান হয়? টাকি পুরসভার প্রশাসক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ে এই দিন জানান, একেবারে বিসর্জন উৎসব বন্ধ না করে দিয়ে, সবদিক বাঁচিয়ে এ বারের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। আর ঐতিহ্য মত প্রতি বছর সন্ধ্যায় বিসর্জনের পর বাজির প্রদর্শনী হয় ইছামতীর পাড়ে। এ বার সেটাও হয়নি, জানান পুর প্রশাসক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। তবে টাকির প্রধান তিনটি ঘাট দিয়ে সব ঠাকুরই বিসর্জন হয়েছে। হয়নি শুধু নৌকা বিহার আর দু’দেশের মধ্যে মানুষের শুভেচ্ছা বিনিময়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
দেশ ভাগের যন্ত্রণার উপর দশমীর শুভেচ্ছার প্রলেপ জুটল না এ বার টাকিতে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল