TRENDING:

ঝাড়লণ্ঠনের আলো ও নহবতের সুরে আজও জমজমাট আমাদপুর গ্রামের জমিদার বাড়ির দুর্গাদালান

Last Updated:

নহবতের সুর। ঝাড়লণ্ঠনের আলো। কালিকাপুরাণ পুঁথি মেনে পুজো। বর্ধমানের আমাদপুর গ্রামের জমিদার বাড়ির পুজোয় সাড়ে তিনশো বছরে ঐতিহ্য।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বর্ধমান: নহবতের সুর। ঝাড়লণ্ঠনের আলো। কালিকাপুরাণ পুঁথি মেনে পুজো। বর্ধমানের আমাদপুর গ্রামের জমিদার বাড়ির পুজোয় সাড়ে তিনশো বছরে ঐতিহ্য। ফিকে হলেও সাধ্য মত আড়ম্বর আজও আছে। মশালের আলোয়, আদিবাসী নাচে দুর্গা বিসর্জনে সাবেকিয়ানা ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা ঐতিহ্যের চৌধুরি পরিবারের।
advertisement

মূঘল সম্রাট শাহজাহানের আমলে মুর্শিদাবাদে জমিদারি পান অনাদিরাম। বর্গি হামলায় ক্লান্ত হয়ে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে বর্ধমানের মেমারির আমাদপুর গ্রামে চলে আসেন তাঁর বংশধর চন্দ্রশেখর চৌধুরী। আমাদপুরের জমিদার হয়েও সুন্দরবনের মসজিদবাড়ি এলাকারও জমিদারি পান তিনি। সেই থেকেই জমিদারবাড়ির পুজো চৌধুরী বাড়ির পুজো বলেই পরিচিত।

বর্ধমানের মেমারি ছাড়িয়ে তিন কিলোমিটার গেলে আমাদপুর । চারদিকে সবুজ মাঠ। পুকুর। গাছ-গাছালির মাঝে চৌধুরীদের জমিদারবাড়ি। মুর্শিদাবাদ থেকে আসার সময়ে কুলদেবতা রাধামাধবকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন চন্দ্রশেখর। জমিদারবাড়ি তৈরির পাশাপাশি মন্দির তৈরি করে প্রতিষ্ঠা করেন রাধামাধবকে। একই সঙ্গে শুর হয় দুর্গাপুজোও। তখন পুজো হত রাধামাধবের মন্দির লাগোয়া ঘরে। পরে পুজো শুরু হয় দুর্গাদালানে ।

advertisement

পুজো শুরু হয় বোধনের সাতদিন আগে। পনের দিন ধরে চলে পুজো । নিয়মিত চণ্ডীপাঠ। ষষ্ঠীর দিন সকালে চৌধুরী পরিবারের মেয়েরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে কনকাঞ্জলী হিসেবে একমুঠো করে চাল ও ডাল সংগ্রহ করেন। সেই চাল ও ডাল বেটে আলপনা দেওয়া হয় দুর্গাদালানে। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় দেবীর বোধন। সপ্তমীতে কলাবউ স্নান। আজও কালিকাপুরাণ পুঁথি মেনে পুজো হয় চৌধুরী বাড়িতে। এখানে লক্ষ্মী , সরস্বতীর বাহন নেই । চাঁদমালাও থাকে না কারোর।

advertisement

পুজো উপলক্ষে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আত্মীয়রা ফিরে আসেন গ্রামে । নহবতের সুরে জমজমাট হয়ে ওঠে বছরভর ঝিমিয়ে থাকা দুর্গাদালান। অষ্টমী, নবমীতে জমিয়ে নাটক। নাচগান। আবৃত্তি। ভোগ খাওয়া। সারা বছরের জমিয়ে রাখা আড্ডা। সামনে বছরের পুজোর প্ল্যান। এখন দিন গুনছে আমাদপুরের জমিদারবাড়ি।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ঝাড়লণ্ঠনের আলো ও নহবতের সুরে আজও জমজমাট আমাদপুর গ্রামের জমিদার বাড়ির দুর্গাদালান