বাংলায় মুঘল শাসনের সময়ে আকবরের সেনাবাহিনীতে উচ্চপদে আসীন ছিলেন জনার্দন উপাধ্যায়। তিনি নদীপথে এসেছিলেন মহিষাদলের কাছে গেঁওখালিতে। তৎকালীন রাজা কল্যাণ রায়ের থেকে কিনে নেন মহিষাদলের রাজত্ব। পরে বংশ পরম্পরায় রাজবাড়ির আয়তন আরও বাড়তে থাকে। তিনটি প্রাসাদ নিয়ে তৈরি এই রাজবাড়ি। প্রথম প্রাসাদের নাম রঙ্গিবসনা। দ্বিতীয়টির নাম লালকুঠি এবং তৃতীয়টির নাম ফুলবাগ। তবে সব প্রাসাদে পর্যটদের প্রবেশাধিকার নেই। কেবল মাত্র ফুলবাগেই পর্যটকরা থাকতে দেওয়া হয়। বর্তমানে এই ফুলবাগ প্রাসাদের ভেতরে একটি ছোট মিউজিয়ামে ও তৈরি হয়েছে পর্যটকদের জন্য। যেখানে রাখা হয়েছে রাজ পরিবারে এর ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র, আসবাবপত্র ও কামান।
advertisement
মহিষাদল রাজবাড়ির ফুলবাগ প্যালেস। ফুলবাগ প্যালেসের ভেতর মিউজিয়াম। রাজবাড়ির কুলদেবতা গোপাল জীউর মন্দির। রাজবাড়ির বিখ্যাত আমবাগান। বর্তমানে মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে রাজবাড়ি চত্বরের পুকুরে বোটিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার বিধায়ক তহবিলের টাকায় বাহ্যিক সৌন্দর্যায়নের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মহিষাদল রাজবাড়িতে। এর পাশাপাশি মহিষাদল রাজবাড়িতে কটেজ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী জানান, রাজবাড়ি ঘিরে ট্যুরিজম ব্যবস্থার আরও উন্নতি সাধনে একাধিক কর্মযজ্ঞ চলছে। পুকুরঘাট, রাস্তা, পথবাতি, রানিকুঠি সংস্কার-সহ রাজবাড়ি চত্বরের সৌন্দর্যের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজবাড়ি চত্বরে কটেজ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন : আসছে জয়া একাদশী! কোন দেবতাকে কোন ফুল নিবেদনে শ্রেষ্ঠ পুণ্য পাবেন? জানুন
বর্তমান কর্মব্যস্ততার যুগে হাতে সময় বড় কম। তবুও মন চায় কাছে পিঠে পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ নিতে। ফলে একবেলা বা একদিনে ঘুরে বেড়ানোর জন্য মহিষাদল রাজবাড়ি একটি আদর্শের জায়গা। পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ এবার মহিষাদল রাজবাড়ি ঘিরে। ফলে জেলা তথা রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে বাড়তি গুরুত্ব পাবে মহিষাদল রাজবাড়ি।