এই রামপুরহাট জংশনে নেমে তারাপীঠ মন্দিরে যাওয়া আসা করেন দেশের নানা প্রান্তের পর্যটকেরা। এর পাশাপাশি মহকুমা শহর হওয়ায় আশাপাশের বহু গ্রামের মানুষ এই স্টেশনের ওপর ভরসা করে যাতায়াত করেন। এই স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি ঝাড়খন্ড, দেওঘর, দুমকা, বিহারের নানা প্রান্তে যাতায়াত করেন বহু যাত্রী। শুধুই কী সেটা! বন্দেভারত সহ একাধিক দূরপাল্লার প্রথম সারির ট্রেনের স্টপেজ রয়েছে এই জংশনে।
advertisement
আরও পড়ুন – Crime Against Minor Girl: নাবালিকাকে ধ*র্ষ*ণ, ২৯বছর পর সাজা পেল ধ*র্ষ*ক, যাবজ্জীবনের সাজা কোর্টের
আগের থেকে স্টেশনের ভিতরে ‘স্বচ্ছ রেল, স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের অধীনে স্টেশনের ভিতরের পরিচ্ছন্নতার মান উন্নয়ন হয়েছে। যাত্রী সচেনতা বাড়িয়ে রেল স্টেশন চত্বরকে পরিষ্কার রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে। গোটা স্টেশন চত্বর জুড়ে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। কিন্তু প্ল্যাটফর্মের বাইরে যাত্রীদের জন্য নেই কোনও শৌচাগার। বহুবার বিভিন্ন সংস্থার তরফে ডেপুটেশনের দেওয়া হয়েছিল শৌচাগার তৈরির জন্য। কিন্তু রেল কোনও কর্ণপাত করেনি। ফলে সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। বাধ্য হয়ে প্ল্যাটফর্মের বাইরে যাত্রীদের যত্রতত্র টয়লেট করতে হয়। অনেক সময় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা যত্রতত্র শৌচাগার করতে বাধা দিলে রেল যাত্রীদের সঙ্গে বচসার সৃষ্টি হচ্ছে।
এলাকার একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, স্বচ্ছ রেল, স্বচ্ছ ভারতের মূল কার্যক্রম হল, স্টেশন চত্বর, প্ল্যাটফর্ম, এবং ট্রেনের ভেতরের নিরাপত্তা এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা। কিন্তু যেখানে স্টেশন চত্বরে কোনও টয়লেট বা শৌচাগার নেই, সেখানে কী করে স্বচ্ছ রেল হতে পারে। পাশাপাশি অন্য এক স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, অনেকে তাঁদের প্রিয়জনকে স্টেশনের বাইরে ছাড়তে আসেন। অনেকে আবার বহু দূর থেকে ট্রেন ধরার জন্য এই স্টেশন এ আসেন। তাঁদের অনেকেই টয়লেট খুঁজে বেড়ান। আবার যাত্রীদের অনেকের শৌচাগার খুঁজতে গিয়ে ট্রেনও মিস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
যদিও স্টেশন থেকে পায়ে হেঁটে পাঁচ থেকে সাত মিনিটের দূরত্বে পাঁচমাথা মোড়ের কাছে রামপুরহাট পৌরসভার তরফ সুলভ শৌচালয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। সেটা স্টেশন থেকে অনেকটাই দূরে। তাই সকলেই চাইছেন স্টেশনের বাইরে নির্দিষ্ট জায়গায় একটি শৌচালয় এর ব্যবস্থা করা হোক।
Souvik Roy






