ডনের মৃত্যুতে থমথমে খড়গপুর। পাল্টা হামলার আশঙ্কায় রেল শহরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। শ্রীনু খুনে খড়গপুরের আরেক ডন রামবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অশান্তি হতে পারে এই আশঙ্কায় রামবাবুর বাড়ির সামনে পুলিশি প্রহরা বসানো হয়েছে। শ্রীনু বিরোধী গোষ্ঠীর এলাকায় কড়া প্রহরা বসিয়েছে প্রশাসন ৷
লোহা, ওয়াগন থেকে জমির কারবারে ঝাঁপানোই কাল হল। একটি বিখ্যাত সংস্থার কারখানার জন্য কম দামে জমি জোগাড়ের কাজে নেমেছিল শ্রীনু। আর তাতে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছিল সঞ্জয় প্রসাদ। এই সঞ্জয়ের হাত ধরেই অন্ধকার জগতে হাতেখড়ি শ্রীনুর। পুরনো পরিচিতির জেরে শ্রীনুর গতিবিধি অনেকটাই জানা ছিল সঞ্জয়ের। সেই মতোই ছক কষে শ্রীনুকে খুনের পরিকল্পনা বলে সন্দেহ পুলিশের।
advertisement
যার হাত ধরে অন্ধকার জগতে প্রবেশ, সেই সঞ্জয় প্রসাদের হাতেই খুন হতে হল শ্রীনুকে? জমি নিয়ে রেষারেষির জোরেই এই খুন করে বলে সন্দেহ পুলিশের।
এক বহুজাতিক সিমেন্ট সংস্থার জন্য কম দামে জমি জোগাড়ের দায়িত্ব পায় শ্রীনু। এখানেও সঞ্জয়কে টপকে বহু কোটির বরাত যায় শ্রীনুর কাছে। তার জেরেই ফের তুঙ্গে ওঠে পুরনো শক্রুতা। সূত্রের খবর, জমির টাকার ভাগ চেয়ে বেশ কয়েকবার শ্রীনুকে হুমকিও দেয় সঞ্জয়। তাতে কাজ না হওয়াতেই খুনের ছক। কৃষ্ণা রাও সহ আরও ১ সহকারীকে নিয়ে কাজে নামে সঞ্জয়।
সঞ্জয় প্রসাদ, বাসব রামবাবুর ঘনিষ্ঠ সঞ্জয়ের হাত ধরেই অন্ধকার জগতে হাতেখড়ি শ্রীনুর। খড়গপুরের রেলের যন্ত্রাংশ ও ওয়াগন ব্যবসার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করত সঞ্জয় - শ্রীনু জুটি। তবে ক্ষমতা আর এলাকা দখলের লড়াইয়ে সঞ্জয়কে কোণঠাসা করে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে শ্রীনু। তাই সুযোগ পেলেই পুরনো শিষ্যকে সমঝে দেওয়ার সুযোগ খুঁজত সঞ্জয়ও।
ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ ২০১০ এ অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের টাকা ভর্তি গাড়ি লুঠ করে শ্রীনুর বাহিনী ৷ সঞ্জয় টাকার ভাগ চাওয়ায় বিরোধ দুই মাফিয়ার ৷ শ্রীনুকে সেইসময় ফোনে হুমকি দেয় সঞ্জয় ৷ এরপরই তুলে নিয়ে এসে সঞ্জয়কে বেধড়ক মারে শ্রীনু ৷
ভবিষ্যতটা বোধহয় লেখা হয়ে গিয়েছিল তখনই। দীর্ঘ দিন ধরে শ্রীনু ও তার ঘনিষ্ঠদের ওপর নজর রেখে চূড়ান্ত হামলার প্রস্তুতি চলে। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের জেরে শ্রীনুর গতিবিধি ও ঘনিষ্ঠদের গতিবিধিও জানা ছিল সঞ্জয়ের। ধর্মার মতো দেহরক্ষীদের রেখেও তাই লাভ হয়নি।