খাদ্য়মন্ত্রী রথীন ঘোষের অবশ্য় পরে দাবি করেন, যিনি চড় মেরেছেন তিনি তৃণমূলের কেউ নয়। স্থানীয় ক্লাবের খেলার মাঠ নিয়ে বিবাদের জেরেই ওই যুবককে ক্লাবের অন্য় এক সদস্য় চড় মেরেছে বলে দাবি করেছেন খাদ্য়মন্ত্রী। তাঁর আরও অভিযোগ, যে যুবককে চড় মারা হয়েছে তিনি বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি পদে রয়েছেন। তৃণমূলকে বদনাম করতেই এমন কাণ্ড ঘটানো হতে পারে বলে দাবি করেছেন খাদ্য়মন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে কুণাল ঘোষকে দেখে ভুল করে 'লাল সেলাম' স্লোগান, কেন!
শনিবার দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে যোগ দিতে এ দিন উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুরের ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকায় যান খাদ্য়মন্ত্রী রথীন ঘোষ। তখনই রাস্তা খারাপ নিয়ে খাদ্য়মন্ত্রীকে অভিযোগ জানাতে যান এলাকার বাসিন্দা এক যুবক। অভিযোগ, তখনই স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী ওই যুবককে বাধা দেন। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা। হঠাৎই ওই যুবককে সপাটে চড় মারেন ওই তৃণমূল কর্মী। পরে আক্রান্ত যুবককে সংবাদমাধ্য়মের সঙ্গে কথা বলতেও বাধা দেন এলাকার তৃণমূলকর্মীরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এর পরেই ওই আক্রান্ত যুবকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় খাদ্য়মন্ত্রীকে। ওই যুবকের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। মন্ত্রীর সামনেও ওই যুবক প্রশ্ন করেন, কেন তাঁকে মার খেতে হল?
খাদ্য়মন্ত্রী রথীন ঘোষ অবশ্য় দাবি করেছেন, ওই যুবককে চড় মারার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি ঘিরে বহু মানুষ, ডায়মন্ড হারবারে হচ্ছেটা কী!
খাদ্য়মন্ত্রী দাবি করেন, 'ওখানে একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে আমি দাওয়ায় বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ বাইরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনি। তখন আমি নিজে গিয়েই খোঁজ নিই কী হয়েছে। ওদের ক্লাবের মাঠ নিয়ে সমস্য়া আছে। নিজেদের মধ্য়ে বিতর্ক নিয়েই দুই দলের মধ্য়ে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কর্মসূচির কোনও সম্পর্ক নেই। ওই ছেলেটির সঙ্গে কথা বলি। পরে জানতে পারি ও বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি। হয়তো আমাদের হেয় করার জন্য় এসব করছে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই।'
খাদ্য়মন্ত্রীর আরও দাবি, 'আমাদের দলের কোনও কর্মী চড় মারেনি। খেলার মাঠ নিয়ে গন্ডগোল। সেটায় রাজনৈতিক রং লাগছে। তবে কে চড় মারল তা খুঁদে বের করে আমরা ব্য়বস্থা নিচ্ছি।'
আক্রান্ত যুবক অবশ্য় সংবাদমাধ্য়মের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর প্রশ্ন, 'এ রকম পরিবেশ থাকলে কি কেউ আর কোনও কথা বলতে পারবে?'
পরে জানা যায়, আক্রান্ত ওই যুবকের নাম সাগর বিশ্বাস। তিনি স্থানীয় নীলগঞ্জ খিলকাপুর এলাকার বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি। ঘটনার প্রতিবাদে পরে ব্য়ারাকপুর- বারাসত রোড অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ওই যুবকের অবশ্য় দাবি, তিনি স্থানীয় বাসিন্দা এবং এলাকার একটি মন্দির কমিটির সদস্য় হিসেবে মন্ত্রীর কাছে খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। যিনি তাঁকে চড় মারেন, সেই শিবম রায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বলে দাবি অভিযোগকারী বিজেপি নেতার। মন্ত্রী ক্লাবের সমস্যা বলে যে দাবি করেছেন, তাও উড়িয়ে দিয়েছেন আক্রান্ত যুবক।