ফল প্রকাশের পরেই শুরু দলবদল পালা ৷ ফলাফল ঘোষিত হতে না হতেই জয়ী সিপিআইএম এবং কংগ্রেস প্রার্থী যোগ দেয় তৃণমূলে ৷ বিধানসভা ভোটের পর মুর্শিদাবাদে দলের তরফে শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই, কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে দলত্যাগের হিড়িক পড়ে। তার জেরে একের পর এক পুরসভা, পঞ্চায়েত সমিতি এমনকি জেলা পরিষদও চলে এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। এবার ডোমকল পুরসভা দখলে পূর্ণ হল সেই বৃত্ত ৷ অন্যদিকে অধীর ম্যাজিক এখন অতীত ৷
advertisement
তৃণমূলের সংগঠনের জোরের থেকেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ডোমকলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বাম-কংগ্রেসের জোট মোটেই ভাল চোখে দেখেননি নীচুতলার কর্মীরা। তাই বিধানসভার মতো পুরসভা ভোটেও ব্যর্থ জোট ৷
মোর্চার জমিতে ফুটল জোড়াফুল, তৃণমূলের দখলে মিরিক
ডোমকলে মোট ওয়ার্ড ২১টি ৷ ১৮টি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল ৷ ২০ ও ২১ নং ওয়ার্ডে জয়ী বামফ্রন্ট প্রার্থী ৷ ৯ নং ওয়ার্ডে জয় পায় কংগ্রেস ৷ ৫ নং ওয়ার্ডে জয়ী হন তৃণমূলের সৌমিক হোসেন ৷
জোটের টিকিটে জিতেই তৃণমূলে যোগ দিলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেসের আসাদুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গেই ঘাসফুলে নাম লেখালেন কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী বাম প্রার্থী আসাদুল ইসলাম। ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জেতা কংগ্রেসের বিল্লাল শেখও তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি তৃণমূলের।
ডোমকলে লড়াই মূলত ছিল দ্বিমুখী। শত প্রচেষ্টার পরও ডোমকলে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি ৷ তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এখানে উঠে এসেছে জোট ৷
ডোমকল জয়ে শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, ‘উন্নয়নের পক্ষে জয়, দায়িত্ব বাড়ল ৷ কেবল জনপ্রতিনিধি নয়, ভোটাররাও দলবদল করেছেন ৷ বাম ও কংগ্রেসের ব্যর্থতায় রায়গঞ্জে বিজেপির ভোট ৷ তৃণমূলের ভোট সংগঠিত আছে এবং বাড়ছে ৷’