দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার জন্য় এবার অভিযোগকারী সেই তৃণমূল কর্মীকেই দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিল শাসক দল। তৃণমূলের বীরভূমের জেলার সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্য়ায় এ কথা জানিয়েছেন। যদিও তৃণমূলের এই পদক্ষেপকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, গোটা বিষয়টিই আসলে পূর্ব পরিকল্পিত।
আরও পড়ুন: দিল্লি নয়, সাত দিনের জন্য় অনুব্রতর ঠিকানা দুবরাজপুর থানা! তড়িঘড়ি বৈঠকে ইডি
advertisement
শিব ঠাকুর মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতেই আজ তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। আপাতত সাত দিন পুলিশ হেফাজতে দুবরাজপুর থানায় থাকবেন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি। পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার কারণে আপাতত আর অনুব্রতকে জেরা করার জন্য় দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি।
বীরভূমের তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্য়ায় অবশ্য় বলেন, 'যে কর্মী জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করতে পারে, আমি মনে করি না সে আমাদের দলের কেউ। এটা বিজেপি-র চক্রান্ত হতে পারে। বিজেপি অনেক দিন ধরেই এই চেষ্টা করছে।'
আরও পড়ুন: অনুব্রতর সাত দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ, জামিনের আবেদনই করলেন না কেষ্টর আইনজীবীরা
শিব ঠাকুর মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ ছিল, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু সেই কথা জানতে পেরে তাঁকে দুবরাজপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে পাঠিয়ে অনুব্রত মণ্ডল তাঁর গলা টিপে ধরেন এবং প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। ওই তৃণমূল কর্মীর আরও দাবি, অনুব্রত মণ্ডল যেহেতু এখন জেলে, সেই কারণে সাহস করেই পুলিসে অভিযোগ করতে পেরেছেন তিনি।
যদিও দল তাঁকে বহিষ্কার বা সাসপেন্ড যাই করুক না কেন, তার জন্য় তিনি তৈরি বলে জানিয়েছেন শিব ঠাকুর মণ্ডল। তাঁর আরও দাবি, যেহেতু এখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এখন জেলায় জেলায় লোক পাঠিয়ে সরাসরি সব খবরাখবর নিচ্ছেন, তাই দলের শীর্ষ নেতার উপরেই আস্থা রাখছেন তিনি। একই সঙ্গে অবশ্য় ওই তৃণমূল কর্মীর দাবি, আদালতের নির্দেশের পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছন তিনি।