অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার নাম সুব্রত সরকার৷ তিনি শান্তিপুর ব্লক এ-র সভাপতি পদে ছিলেন৷ অভিযোগ, তিনি যে বিবাহিত সেই তথ্য চেপে গিয়ে এক যুবতীকে ফের বিয়ে করেছিলেন সুব্রত৷ বিয়ের পরই সেকথা জানতে পারেন ওই তৃণমূল নেতার দ্বিতীয় স্ত্রী৷
এ কথা জানতে পেরেই ওই তরুণী পুলিশের দ্বারস্থ হন৷ প্রথম বিয়ের কথা লুকিয়ে সুব্রত সরকার তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী৷ দ্বিতীয় স্ত্রী পুলিশের দ্বারস্থ হতেই ওই তৃণমূল নেতা তাঁর মুখ বন্ধ করতে তৎপর হন৷ অভিযোগ, নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীকেই খুনের হুমকি দিতে শুরু করেন ওই তৃণমূল নেতা৷
advertisement
দলের ব্লক সভাপতির এই কেচ্ছায় অস্বস্তিতে পড়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব৷ এর পরই বৃহস্পতিবার শান্তিপুরের ওই তৃণমূল নেতাকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করার কথা জানায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব৷
রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন৷ তিনি জানিয়েছেন,বিতর্ক হওয়ায় সুব্রত সরকারকে আপাতত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয়ভাবে আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও অপসারিত তৃণমূল নেতার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷