এই বৈষম্য কেন করা হচ্ছে? রাজ্যসভার সাংসদের চিঠি স্ট্যান্ডিং কমিটিকে। তৃণমূল সাংসদ সামিরুল তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের তরফে মানুষকে বাড়ি তৈরির টাকা দিচ্ছেন। ১০০ দিনের বকেয়া টাকাও মিটিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্র টাকা আটকে রাখায় আসলে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলার কোটি কোটি গরিব মানুষ।
advertisement
১০০ দিনের কাজ, গ্রামসড়ক, আবাস যোজনা-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার বকেয়া নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ নতুন নয়। প্রাপ্য অর্থের দাবিতে এবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে চিঠি দিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ সামিরুল ইসলাম। এই স্ট্যান্ডিং কমিটির অন্যতম সদস্য তিনি। সামিরুল জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ সচিব আশ্বস্ত করেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে মন্ত্রকের তরফে তাঁকে সদুত্তর দেওয়া হবে।
বাংলার বঞ্চনা নিয়ে গত এক বছরে বারবার কেন্দ্রের মোদী সরকারকে নিশানা করেছে তৃণমূল। সংসদের চলতি অধিবেশনেও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যকে প্রাপ্য থেকে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হচ্ছেন জোড়াফুল সাংসদরা। কলকাতায় ষোড়শ অর্থ কমিশনের সামনেও রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি কমিশনের কাছে রাজ্য থেকে সংগৃহীত কেন্দ্রীয় করের ৫০ শতাংশ অর্থ রাজ্যের জন্য বরাদ্দের দাবি জানান। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ এই কেন্দ্রীয় রাজস্বের ৪১ শতাংশ পায়।প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল। কয়েক লক্ষ বঞ্চিতের চিঠি নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে হাজির হন।
আগে থেকে জানানো সত্ত্বেও গ্রমোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেননি। মন্ত্রকে বসে থেকে প্রতিবাদও জানান। পরে তাঁদের আকট করে পুলিশ। পরে অবশ্য গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী কলকাতায় এসে জানান, তিনি দেখা করার জন্য বসেছিলেন কিন্তু তৃণমূলের কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য আসেনি। দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদে বঞ্চিতদের চিঠি নিয়ে কলকাতায় ধরনায় বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের ‘বঞ্চনার’ প্রতিবাদে সেবার তৃণমূলের হাতিয়ার ছিল বঞ্চিতদের চিঠি।