তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা লড়াই করেছি সিপিএমের সঙ্গে। সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে আমাদের বহু কর্মীর জীবন গেছে, সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। কিন্তু আমরা কে শত্রু, সেই লোকটাকে দেখতে পেতাম। পরবর্তী দিনে ২০১১ সালে সেই সিপিএমের জুলুম অত্যাচারের হাত থেকে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে মুক্ত করেন। তার পর থেকে যে লড়াই, সেই লড়াই ঠিক কাদের সঙ্গে তা আমরা ঠিক বুঝতে পারি না। তার পর থেকে আমরা দেখি কখনও ইডি এগিয়ে আসছে, কখনও সিবিআই এগিয়ে আসছে,কখনও নির্বাচন কমিশন এগিয়ে আসছে। বুথে কেউ নেই, কিন্তু ব্যালট বক্সে ভোট পড়ে থাকছে। কী ভাবে এটা হচ্ছে তা এখনও ধরতে পারছি না। সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে”।
advertisement
তৃণমূল নেতা আরও বলেন, “এত দিন বিজেপি নেতৃত্ব বলছিল কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ভোটে জিতিয়ে দেবে। সে পরীক্ষায় তারা ফেল করেছে। পরে আবার সামরিক বাহিনী নিয়ে এসে ভোটে জিতবে, সেটাও সম্ভব হয়নি। এখন তারা ভোটার লিস্টে কারচুপি করে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে। এটা করে তারা দিল্লি মহারাষ্ট্রে সার্থকতা পেয়েছে। তারা ভোটার লিস্টে কারচুপি করে ভোটে জিতেছে। বিহারেও প্রচুর প্রকৃত ভোটারকে তারা বাদ দিতে পেরেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিচক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই এই অঙ্কটা ধরে ফেলেছেন বলেই পশ্চিমবঙ্গে সেটা সম্ভব হবে না। সঠিক ভোটার লিস্ট সামনে আনার কাজটা আমাদের এখন থেকেই গুছিয়ে করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ন্যায্য ভোটারদের একজনের নামও বাদ দিতে দেব না, সেই নির্দেশ আমাদের কার্যকরী করতে হবে। আমরা তা সঠিকভাবে করতে পারলে আমাদের আর অন্য কিছুর প্রয়োজন হবে না। তার কারণ, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যে কাজ করেছেন রাজ্যের মানুষ তা মনে রাখবেন। কিন্তু বিজেপি ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ২০২৫-এ এসেও সেসবের কিছুই পূরণ করতে পারেনি”।