সেই ‘ছায়া’ বলতে তিনি কাদের বোঝাচ্ছেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। এবার সেই ‘ছায়া’ শত্রু কারা তা পরিষ্কার করে দিলেন বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। কে জানেন সেই ‘ছায়া’ শত্রু?
নিউজ ১৮ বাংলাকে পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূলে কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সিপিএমের সময় আমরা জানতাম প্রতিপক্ষ কে? সিপিএমের সঙ্গে আমাদের সরাসরি লড়াই হতো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে মাঠে কোনও লোক নেই। কিন্তু ভোটের বাক্সে অন্যরকম ফল হচ্ছে। তার মানে নিশ্চয়ই এর পিছনে কেউ একটা আছে। সেই ছায়াটাই ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা সেই লোকটাকে এখনও ধরতে পারিনি। সেই লোকটাকে ধরার জন্যই আমি কর্মীদের বলছি।
advertisement
এর পর তৃণমূলের জেলা সভাপতি জানান, সেই ছায়াশত্রু বিজেপি। তারাই ছায়ার মতো কাজকর্ম করছে। আশা করা যাচ্ছে আগের থেকে অনেক তৎপরতার সঙ্গে আমাদের কর্মীরা তাদের আটকাতে পারবে।
এর আগে বর্ধমানে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনে তিনি কর্মীদেল উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আছি। আমি তিনবার বিধায়ক হয়েছি সিপিএমের সময়। তখন দেখতাম একটা সামনাসামনি লড়াই। অনেক রক্তক্ষয়, অনেক মানুষের জীবনহানির মধ্যে দিয়ে আমরা কেউ জিতেছি, কেউ হেরেছি। কিন্তু এখন যেন লড়াই আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে। তার কারণ তখন কে আমাদের শত্রু তাকে সামনাসামনি দেখতে পেতাম। আর এখন শত্রুদের সামনাসামনি দেখতে পাইনা। প্রকৃতপক্ষে ছায়ার সঙ্গেই লড়াই। ছায়ার সঙ্গে লড়াই করাটা কঠিন। সেই জায়গায় আমাদের সচেতন হতে হবে। আমরা যেটা পেয়েছি যে কোনও মূল্যে আগামী দিনে সেটা ধরে রাখতে হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এই ‘ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ’ বলতে কোন দিকে ইঙ্গিত করছেন তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। এর পর তিনি ছায়াশত্রু হিসেবে যে বিজেপিকে বলছেন তা পরিষ্কার করে দিলেন।