নন্দীগ্রামের জেলা পুর্ব মেদিনীপুরে শাসকদলের দুটি সাংগঠনিক জেলা। তমলুক ও কাঁথি। এর মধ্যে একটি জেলার সভাপতি ও জেলা চেয়ারম্যান পদে বদল আনল তৃণমূল। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান ও সভাপতি পদে দুজনকে পুনর্বহাল রাখলেও তমলুক সাংগঠনিক জেলার দুটি পদেই বদল আনলো শাসকদল। কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় চেয়ারম্যান তরুণ কুমার মাইতি ও জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি পাণ্ডাকে পুনর্বহাল করা হয়েছে। অপরদিকে তমলুক সাংগঠনিক জেলায় চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মাইতি ও জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন জেলা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুজিত রায়কে এবং জেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়কে। চিত্তরঞ্জন মাইতি ও অসিত বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য করা হয়েছে।
advertisement
সৌমেন মহাপাত্র পূর্ব মেদিনীপুরের পুরনো নেতা৷ জেলা সভাপতি, মন্ত্রী ছিলেন৷ কিন্তু বর্তমানে কোণঠাসা৷ মন্ত্রিত্ব, জেলা সভাপতি পদ থেকে আগেই সরানো হয়৷ এখন শুধু তমলুকের বিধায়ক৷ আগের বার অল্প মার্জিনে জেতেন৷
দীপেন্দ্র তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান৷ সাত বারের কাউন্সিলর৷ স্বচ্ছ ভাবমূর্তি৷ সৌমেনের শিবিরের লোক নয়৷ অন্যদিকে সুজিত সৌমেনের বাড়ি যেখানে সেই পাঁশকুড়ার বাসিন্দা, ব্লক স্তরের নেতা৷ সুজিত ঘাটালের সাংসদ দেবের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত৷ তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এবং চেয়ারম্যান পদে দুই নতুন মুখকে এনে আসলে সৌমেনকেই আরও চাপে ফেলা হল বলে মনে করা হচ্ছে৷ সৌমেন এখন শুধু বিধায়ক থাকলেন৷ 2026-এ সৌমেন টিকিট পাবেন কি না তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে