গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও টিকিট বিলি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন হুমায়ুন৷ শেষ পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে নিরস্ত হন তিনি৷ এবারে অবশ্য হুমায়ুন নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিলেন৷ জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করে কেন ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করা হল, তা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন হুমায়ুন৷ তৃণমূল নেতৃত্বের চিন্তা বাড়িয়ে হুমায়ুনের আরও দাবি, দলের সিদ্ধান্তে জেলার অনেক নেতাই ক্ষুব্ধ৷ শুধু তাঁরা সাহস করে মুখ খুলতে পারছেন না৷ হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখও তাঁর সঙ্গে আছেন বলে দাবি করেছেন হুমায়ুন৷ যদিও এ বিষয়ে নিয়ামত শেখের প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘ব্যারাকপুরে প্রার্থী হচ্ছেন, ঘোষণা করে দিলেন অর্জুন!’ মমতার ছবি সরিয়ে শুরু মোদির প্রশংসা
নিজের ভোটে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে হুমায়ুন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করলেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে আমি মনোনয়ন জমা দেব। দলীয় নেতৃত্বকে অবমাননার জবাব দিতেই এই সিদ্ধান্ত। ক্ষোভের কারণ জানাতে গিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একবার আলোচনা করে যদি প্রার্থী দেওয়া হত তাহলেও মেনে নেওয়া যেত। জেলার সভাপতি ও চেয়ারম্যানের সঙ্গেও কোনও আলোচনা করেননি রাজ্য নেতৃত্ব। এত উপেক্ষা সহ্য করা যায়না।’
এ দিন আবার কলকাতায় এসে তিনি বলেন, “আমি নতুন দল গঠন করব। তবে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব না। এর আগে একবার ইস্তফা দেওয়ায় আমাকে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছিল।”
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কুকথার জন্য তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে রেজিনগর বিধানসভা থেকে নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন হুমায়ুন কবীর। সেই ভোটে নিজে জিততে না পারলেও প্রায় ৭৪ হাজার ভোট পেয়ে তৃণমূলের প্রার্থী সিদ্দিকা বেগমের জামানাত জব্দ করার ব্যবস্থা করেছিলেন হুমায়ুন। অল্প ভোটে জয়লাভ করেছিলেন কংগ্রেসের প্রার্থী বর্তমানে তৃণমূলের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী। তারপর তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০২১ সালে ভরতপুর থেকে তৃণমূলের বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর থেকেই তৃণমূলের একাধিক নেতানেত্রী নিজেদের ক্ষোভ, হতাশা প্রকাশ করেছেন৷ টিকিট না পেয়ে দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং৷ ব্যারাকপুর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি৷ আবার বাঁকুড়ায় টিকিট না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
সহ প্রতিবেদন: আবীর ঘোষাল