শুধু জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষই নন, শান্তনু রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমে সরকারি চাকরিও করতেন। বাবার মৃত্যুর পর এই চাকরি পেয়েছিলেন শান্তনু৷ বলাগড়ে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের অফিসেই চাকরি করতেন তিনি৷ তবে তৃণমূলে পদ পাওয়ার পর প্রভাব বাড়তেই অফিস যাওয়া কার্যত বন্ধ করে দেন তিনি৷ শান্তনুর সহকর্মীরাই জানাচ্ছেন, সপ্তাহে একবার অফিস যেতেন তৃণমূলের এই যুবনেতা৷ সঙ্গে থাকত কনভয় এবং নিরাপত্তাকর্মীরা৷ অফিসে গিয়ে খাতায় সই করেই ফিরে আসতেন শান্তনু৷
advertisement
আরও পড়ুন: অবসরে নাটক আর পেশা ছিল মোবাইলের সিম বিক্রি, সেই শান্তনু এখন রেস্তরাঁর মালিক, রহস্য!
তৃণমূল নেতার প্রভাব এবং দাপটের কথা জেনে এর প্রতিবাদ করতে পারেননি কেউই৷ দিনের পর দিন শান্তনু এমন অনিয়ম চালিয়ে গেলেও কেন বিদ্যুৎ পক্ষ থেকেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না, সেই প্রশ্নও উঠছে৷
মাত্র কয়েক বছর আগেও শান্তনু হুগলির জিরাটে একটি টিনের দোকানে মোবাইল সারানোর কাজ করতেন বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা৷ কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এবং দলে তাঁর প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যেতে থাকে শান্তনুর জীবনযাপন৷ একের পর এক সম্পত্তির মালিক হয়ে যান শান্তনু৷ হুগলির বলাগড়ে একটি বিলাসবহুল ধাবা এবং হুক্কা বার রয়েছে তাঁর৷
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সরেছে ভিন রাজ্যেও, সিবিআই হঠাৎ পেল বিশাল খবর, দেখুন
বলাগড়ে গঙ্গার ধারে একটি রিসর্টের মালিকও শান্তনু৷ বলাগড়ে আরও একটি অতিথিশালা রয়েছে এই তৃণমূল যুবনেতার৷ বলাগড়েই একটি বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে শান্তনুর৷ চন্দনগরের একটি নামী আবাসনে শান্তনুর ১৮০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটেরও খোঁজ মিলেছে৷ স্কুলে চাকরি বিক্রির টাকাতেই শান্তনু এই বিপুল সম্পত্তি করেছেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে৷
গ্রেফতারির পর এ দিনই শান্তনুকে আদালতে পেশ করে ইডি৷ আদালতে ঢোকার সময় অবশ্য শান্তনু দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ৷