শান্তিপুরের বড়বাজারে তৃণমূল কর্মী শান্তনু মাহাতর বাড়ি। শান্তিপুরের পুরপ্রধান অজয় দে-র ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত শান্তনু। বাড়ির কিছুটা দূরে শান্তনুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। পরিবারের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই খুন হয়েছেন শান্তনু।
মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির কিছুটা দূরে মন্দিরের চাতালে বসেছিলেন তৃণমূলকর্মী। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাইকে করে মুখ ঢাকা কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে শূন্যে গুলি ছোড়ে। বোমাবাজিও করা হয়। শান্তনু পালাতে গেলে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতীরা।
advertisement
নিহতের স্ত্রীর সরাসরি অভিযোগ, পুরপ্রধান অজয় দের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তাঁর স্বামী। তাই তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য খুনে মদত দিয়েছেন।
শান্তিপুরে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’
- একসময়ে শান্তিপুরের কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন অজয় দে
- পরে তৃণমূলে যোগ দেন অজয় দে
- ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে লড়েন অজয় দে
- কংগ্রেসের টিকিটে বামেদের সমর্থনে অজয়কে হারান অরিন্দম ভট্টাচার্য
- ২০১৭-এ তৃণমূলে যোগ দেন অরিন্দম ভট্টাচার্য
অভিযোগ, তখন থেকেই অজয় ও অরিন্দম গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য।
এর আগেও শান্তিপুরের পুরপ্রধান ও বিধায়ক গোষ্ঠীর মধ্যে ওই এলাকায় একাধিকবার গন্ডগোল হয়েছে। রবিবারও বচসায় জড়ান দুই গোষ্ঠীর অনুগামীরা। মঙ্গলবার ফের গন্ডগোলের জেরে খুনের অভিযোগ উঠল।