অভিযোগ দায়ের করল পরিবার ৷ অভিযুক্তরা এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত ৷ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার একটি দোনলা বন্দুক ৷ উদ্ধার দুটি কার্তুজের খোল ৷ উদ্ধার মাঙ্কি টুপি ও হাঁসুয়া ৷
নদিয়ার হাঁসখালিতে খুন তৃণমূল নেতা। দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন বগুলা এক নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান এবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাস। অভিযোগ, সিপিএম ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাঁকে খুন করেছে। থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও, অভিযুক্তরা অধরা। এদিকে, দলীয় নেতা খুনের ঘটনায় আজ বগুলায় যাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
অন্যান্য দিনের মতো গতকাল রাতেও বগুলায় তৃণমূল কার্যালয়ে কয়েকজন দলীয় কর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন দুলাল বিশ্বাস। তখন রাত প্রায় আটটা। ৬-৭ জন যুবক বাইকে করে পার্টি অফিসে আসে। এরপর ভিতরে ঢুকে কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে আচমকাই দুলালবাবুকে লক্ষ করে গুলি চালাতে থাকে। পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়েই বাইকে চড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার আকস্মিকতায় দলীয় কর্মীরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কাতরাতে থাকেন দুলালবাবু। রক্তে ভেসে যায় মেঝে। গুলির আওয়াজ শুনে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীও ঘটনাস্থলে চলে আসেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন নিহত তৃণমূল নেতার ছেলে দীপঙ্কর বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, সিপিএম ও বিজেপির লোকজনই একাজ করেছে।
ঘটনার পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস। তাঁরও অভিযোগ, সিপিএম ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই একাজ করেছে। খুনের ঘটনায় থমথমে গোটা এলাকা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামে পুলিশ