রবিবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ পার্টি অফিসে বসে কাজ করছিলেন বগুলা এক নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান এবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাস। সেখানে তখন দলীয় নেতা, কর্মীদের ভিড়। আচমকাই অফিসে ঢুকে পড়ে মাঙ্কি ক্যাপে মুখ ঢাকা তিন দুষ্কৃতী। তিনজনের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র। একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় তারা। হতচকিত নেতা, কর্মীরা। ভয়ে কেউ এগোতে সাহস পাননি। এরপর বিনা বাধায় পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ দুলাল বিশ্বাসকে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
advertisement
নিখুঁত অপারেশন। দুষ্কৃতীদের হাতে রেডি এলাকার নীল নকশা। যে পথে আসে দুষ্কৃতীরা, সেই পথও হাতের তালুর মত চেনা। দেখে নেওয়া যাক কোন পথে আসে দুষ্কৃতীরা? কিভাবেই বা বিনা বাধায় সকলের সামনে দিয়েই চলে যায় তারা।
কোন পথে অপারেশন
----বগুলা স্টেশনে নেমে রেল লাইন ধরে পাঁচ মিনিটের হাটা-পথ
----সেই পথে ডান দিকে রেললাইন লাগোয়া বস্তি
---বস্তির মধ্যে দিয়ে ন নম্বর রোডে ওঠে মুখ ঢাকা চার দুষ্কৃতী
---ন ম্বর রোডে একশো মিটার যেতেই ডানদিকে তৃণমূলের পার্টি অফিস
---অফিসের শাটার খোলা ছিল
----আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভিতরে ঢুকে খুব কাছ থেকে পাঁচ বার গুলি করে দুলাল বিশ্বাসকে
----তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখে ভয়ে কেউ এগোতে সাহস পায়নি
---- গুলি করার পর এই পথেই বিনা বাধায় ফিরে যায় দুষ্কৃতীরা
স্টেশনে যাওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গায় বন্দুক, ভোজালি ফেলে যায় দুষ্কৃতীরা। স্টেশনে পৌঁছে কিভাবে চম্পট দেয় তারা তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বাইকে করে স্টেশনের উল্টোদিকের দুর্গাপুর রোড দিয়ে পালাতে পারে তারা। তবে ট্রেনে চেপে পালানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।