বিজেপি-র নবান্ন অভিযানের দিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের সোনাপেতায়৷ এ দিন সকালে নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে বাসে করে কলকাতায় আসছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা৷ অভিযোগ, সোনাপেতায় জাতীয় সড়কের উপরে টোল প্লাজার কাছে রাস্তার পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিঁড়ে ফেলতে শুরু করেন বিজেপি নেতা, কর্মীরা৷
advertisement
টোলপ্লাজার পাশেই ছিল রঘুনাথপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস৷ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছেঁড়া হচ্ছে দেখে তার প্রতিবাদ করেন তারকা জানা নামে ওই পঞ্চায়েত প্রধান৷ সেই সময়ই তাঁকে কার্যত ঘিরে ধরেন বিজেপি নেতা, কর্মীরা৷ এর পরেই শুরু হয় মারধর৷ লাঠি, ছাতা হাতের কাছে যা ছিল, তাই নিয়েই তৃণমূল নেতার উপরে চড়াও হন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা৷
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! বিজেপির নবান্ন অভিযান ভোঁতা করতে অভিনব কৌশল, কটাক্ষ বিজেপির
ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা থাকলেও তাঁরা সংখ্যায় ছিলেন কম৷ ফলে কার্যত এলোপাথাড়ি মারধর চলতে থাকে৷ মারের চোটে তৃণমূল নেতার পাঞ্জাবি, ভিতরে থাকা গেঞ্জি সবই ছিঁড়ে যায়৷ বিজেপি কর্মীদের নাগাল এড়িয়ে কোনওক্রমে পঞ্চায়েত অফিসের দিকে দৌড়তে থাকেন তিনি৷ তখনও তাঁকে ধাওয়া করেন বিজেপি কর্মীরা৷
শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত প্রধানকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন টোল প্লাজার এক কর্মী৷ কিন্তু তাঁর নাগাল থেকে তৃণমূল নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে ফের রাস্তায় ফেলে শুরু হয় তৃণমূল নেতাকে৷ মারধরের ফলে কার্যত বিবস্ত্র হওয়ার অবস্থা হয় তৃণমূল নেতার৷ শেষ পর্যন্ত কয়েকজন পুলিশকর্মী এসে কোনওক্রমে তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকিয়ে দেয়৷
পরে তারক জানা নামে ওই তৃণমূল নেতা বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী কাল নিমতৌড়ি আসবেন বলে তাঁর ছবি লাগানো হয়েছিল৷ সেই ছবি ছেঁড়া হচ্ছে দেখে আমি প্রতিবাদ করি৷ তখনই আমাকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে৷ আমায় প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল৷' হামলাকারী বিজেপি নেতা, কর্মীদের তিনি চেনেন বলেও জানিয়েছেন তারক জানা৷ এই ঘটনায় অবশ্য বিজেপি-র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷